দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমকালীন কবিদের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী কবি হলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। যুগচেতনার প্রতিটি অনুভবের স্পন্দন আমরা তাঁর কবিতার রেণুতে রেণুতে পাই। কবি কমিউনিজমে দীক্ষিত ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্ট রাজ্ প্রতিষ্ঠিত হলেও কবির স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। তবু কবিতার মূল সুর আশাবাদ। গভীর দুঃখ , অসহ লাঞ্ছনা , অপরিসীম নৈরাশ্যের ভাঙন-ধরা উপকূলে দাঁড়িয়ে তিনি আশা করেছেন এ নদীতে আসবে প্রশান্তির ভাঁটা। আনন্দের জ্যোৎস্না চুম্বন করে যাবে এর স্থিরতোয়া জলরাশি। প্রাণশক্তির অফুরান প্রাচুর্য তাঁর পারিপার্শ্বে জ্বালিয়ে দেবে নির্বাণহীন আলোর শিখা।
আমাদের পাঠ্য " একাকার " কবিতায় কবি দুই বাংলার মানুষের সর্বতোভাবে একাকার হওয়ার কথা ব্যক্ত করেছেন কবিতার মাধ্যমে। হিন্দু - মুসলমান দুটি সম্প্রদায় হলেও তাদের ভাষা এক, সংস্কৃতি এক......একই আচরণ। প্রকৃতির কাছ থেকে অঞ্জলি ভরে যা আমরা পাই তা ' পানি' কিংবা ' জল ' --- কিন্তু বাস্তবে তো সবই এক।
আবার ধর্মের দিক থেকেও তাদের আচরণ ভিন্ন নয়। 'মা' বা 'আম্মা' জপমালা নিয়ে একাসনে বসে 'ভগবান' বা 'আল্লা'র কাছে তার সন্তান ও পৃথিবীর শান্তির জন্য প্রার্থনা করে। নাম আলাদা হলেও মূল সুর ও দৃশ্য এক। সে প্রার্থনায় কোন ফারাক নেই।
আবার ভোরের উপনিষদের উদাত্ত সামবেদের গান কিংবা ভোরের আজানের মধ্যেও কোন প্রভেদ নেই। সকালের প্রভাতফেরীর সঙ্গে সব মিলে মিশে " একাকারে " হয়ে যায়।
hh
ReplyDeleteNoo noo
ReplyDeleteHi
ReplyDeletethe summary is totally wrong.
ReplyDeleteWrong summary
ReplyDelete