Showing posts with label সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত. Show all posts
Showing posts with label সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত. Show all posts

Wednesday, 8 June 2022

বাংলাদেশ - সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

 কোন দেশেতে তরুলতা 

সকল দেশের চাইতে শ্যামল 

কোন দেশেতে চলতে গেলেই 

দলতে হয় রে দূর্বা কোমল ? 

কোথায় ফলে সোনার ফসল ,

সোনার কমল ফোটে রে ? 

সে আমাদের বাংলা দেশ 

আমাদেরি বাংলা রে। 


কোথায় ডাকে দোয়েল শ্যামা 

ফিঙে গাছে গাছে নাচে ? 

কোথায় জলে মরাল চলে 

মরালী তার পাছে পাছে ;

বাবুই কথা বাসা বোনে

 চাতক বারি  যাচে রে ? 

সে আমাদের বাংলা দেশ 

আমাদেরি বাংলা রে। 


কোন দেশের দুদর্শায় মোরা 

 সবার অধিক পাই রে দুখ ? 

কোন দেশের গৌরবের কথায় 

বেড়ে ওঠে মোদের বুক ? 

মোদের পিতৃ-পিতামহের 

চরণধূলি কোথায় রে ?

সে আমাদের বাংলা দেশ

 আমাদেরি বাংলা রে। 



শব্দার্থ : 

তরুলতা- গাছপালা 

দলতে - মাড়িয়ে যেতে 

কোমল - নরম 

মরাল- রাজহাঁস 

মরালী - রাজহংসী 

চরণধূলি - পায়ের ধুলো 

সোনার ফসল- ধান , পাকা ধানের রঙ হলুদ।  তাই ধান পাকলে মনে হয়  মাঠে সোনা ফলে আছে। 

চাতক - এক রকমের ছোটো পাখি।  কথিত আছে যে ,  এরা মেঘের কাছে জল প্রাথর্না করে  এবং বৃষ্টির জল ছাড়া অন্য জল পান করে না। 

শ্যামল- সবুজ 

দূর্বা - ছোটো ঘাস 

কমল- পদ্ম 

বারি -জল 

দুর্দশা - দুরবস্থা 

অধিক - বেশি 

পিতামহ - ঠাকুরদা 

যাচে - চায় 

গৌরব - সম্মান 

পিতৃ- পিতা ,বাবা 


প্রশ্ন ও উত্তর : 

(১) "বাংলাদেশ " কবিতাটি কে লিখেছেন ? 

উত্তর : সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত 

(২) বাংলাদেশে চলতে গেলে কী দলতে হয় ? 

উত্তরঃ  দূর্বা ঘাস 

(৩) কোথায় ফলে সোনার ফসল এবং কোথায় সোনার কমল ফোটে ? 

উত্তরঃ  বাংলাদেশে সোনার ফসল  ফলে এবং সোনার কমল ফোটে। 

(৪) এ দেশে কোন কোন পাখি গান গায় ? কোন পাখি বাসা বোনে ? 

উত্তরঃ দোয়েল আর শ্যামা পাখি গান গায়।  বাবুই পাখি বাসা বোনে। 

(৫) এ দেশের জলে কী চড়ে বেড়ায় ? 

উত্তরঃ  এ দেশের জলে মরাল মরালী চড়ে বেড়ায়। 

(৬) এ দেশের দুর্দশার কথা শুনলে আমাদের কেমন লাগে ?

উত্তরঃ এ দেশের দুর্দশার কথা শুনলে আমাদের সবথেকে বেশি দুঃখ হয়। 

(৭) এ দেশের গৌরবের কথা শুনলে আমাদের কেমন লাগে ? 

উত্তরঃ এ দেশের গৌরবের কথা শুনলে আমাদের গর্বে বুক ফুলে ওঠে।  

(৮) এ দেশের মাটিতে কাদের চরণধূলি মিশে আছে ? " চরণধূলি " কথার অর্থ কী ? 

উত্তরঃ এ দেশের মাটিতে আমাদের পূর্বপুরুষের চরণধূলি মিশে আছে।  

" চরণধূলি " কথাটির অর্থ হল পায়ের ধুলো।  

(৯) 'পিতৃ -পিতামহ' বলতে কী বোঝায় ? তাঁরা কীভাবে আমাদের প্রভাবিত করেন ? 

উত্তরঃ আমাদের পূর্বপুরুষ অর্থাৎ বাবা ও ঠাকুরদা হলেন যথাক্রমে পিত বা পিতৃ এবং পিতামহ। 

                     আমাদের  জন্মভূমিতে আমাদের আগে তাঁদের জীবন অতিবাহিত করেছেন।  এই জন্মভূমির মাটিতেই তাঁরা পদচারণা করেছেন।  তাই এর ধুলো পবিত্র ও পুণ্যময় রূপে আমাদের প্রভাবিত করে।  

(১০) 'তরুলতা ' কী ? বাংলাদেশের তরুলতা কেমন ? 

উত্তরঃ বৃক্ষ -গুল্ম-লতা ইত্যাদিকে কবি একত্রে তরুলতা বলেছেন।  

                        সকল দেশের গাছপালার থেকেও বাংলাদেশের গাছপালা বা তরুলতা সবুজ।  

(১১) বাংলাদেশের ধানকে কবি সোনার ফসল বলেছেন কেন ? 

উত্তরঃ পাকা ধানের রঙ হলুদ।  তাই সারা মাঠের ধান যখন পেকে ওঠে , তখন মনে হয় যেন সোনা ফলেছে।  তাই কবি বাংলাদেশের ধানকে সোনার ফসল বলেছেন।  

(১২) বাংলাদেশে যেসব পাখি দেখা যায় তাদের নাম বলো।  

উত্তরঃ বাংলাদেশে চড়ুই , শালিখ, কাক, টিয়া , ময়না, কোকিল , হাঁস , কাকাতুয়া , দোয়েল, শ্যামা, ফিঙে প্রভৃতি পাখি দেখা যায়। 

(১৩) 'বাংলাদেশ ' কবিতায় কোন কোন পাখির কী কী কাজের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ' বাংলাদেশ ' কবিতায় দোয়েল , শ্যামা , ফিঙে , রাজহাঁস , রাজহংসী , বাবুই ও চাতক  পাখির কথা বলা হয়েছে।  

                এখানে দোয়েল ও শ্যামা পাখি সুন্দর শুরে ডাকে , ফিঙে পাখি গাছে গাছে নেচে বেড়ায় , রাজহংসী রাজহাঁসের পেছন পেছন জলে সাঁতার কাটে , বাবুই পাখি গাছের ডালে বাসা বোনে আর চাতক পাখি বৃষ্টির জল প্রার্থনা করে।  



Monday, 25 January 2021

জোনাকি

 জোনাকি 

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত 

ওই        একটি দুটি পাতার পরে 

একটু মৃদু আলো ,

ও যে      দেখতে ভারী নুতন, ওরে - 

কেমন লাগে ভালো। 

আয় জোনাকি বুকটি ভরে 

একটু নিয়ে আলো ,

আজ     আঁধার রাতি বাদল সাথী 

                     চাঁদের ভাতি কালো।  

যেটুকু তোর দেবার আছে দিয়ে দে তুই আজ , 

ও সে তারার মতো নাই - বা হল 

               তাতাই বা কি লাজ ? 

ছোটো -- সে তো ভালোই আরো 

              ছোটো বলেই মান ;

ও যে            দুঃখীজনের ভিক্ষা মুঠি 

                      দানের সেরা দান ! 

                  থাক না তারা তপন শশী 

                         থাক- না  যত আলো ,---

তাদের মোর করব পূজা , 

                          বাসব তোরেই ভালো।  




প্রশ্ন ও উত্তর 

(১) " একটি দুটি পাতার পরে " 

(ক) পংক্তিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? কার লেখা ? 

(খ) একটি দুটি পাতার পর কী দেখা যায় ? 

(গ) সেগুলি দেখতে কেমন লাগে ? 

উত্তরঃ 

(ক) পংক্তিটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত 'জোনাকি' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।  

(খ) একটি দুটি পাতার পরে জোনাকির মৃদু আলো দেখা যায়।  

(গ) মৃদু এল সৃষ্টিকারী জোনাকির মধ্যে কবি নতুনত্ব দেখতে পান।  অল্প এল জ্বালানো জোনাকি দেখতে তাই খুব নতুন লাগে।  

(২) " চাঁদের ভাতি কালো " 

(ক) ' ভাতি ' কথাটির অর্থ কী ? 

(খ) চাঁদের ভাতি কালো কথাটির অর্থ কী ? 

(গ) কবি আজ জোনাকিকে কী করতে বলেছেন ? 

উত্তর : 

(ক) 'ভাতি ' কথাটির অর্থ দীপ্তি।  

(খ) আজ বৃষ্টি বাদল ভরা অন্ধকার রাত।  তাই চাঁদের দীপ্তি , চাঁদের আলো নেই, তা কালো অন্ধকারে ঢেকে গেছে।  তাই চাঁদের ভাতি কালো।  

(গ) বৃষ্টি ঝরা আঁধার রাতে চাঁদের এল কালো অন্ধকারে ঢেকে গেছে।  তাই কবি জোনাকিকে তার অল্প আলোটুকুই বুক ভরে নিয়ে আস্তে বলেছেন এবং তা উজাড় করে দিতে বলেছেন।  

(৩) "দানের সেরা দান। ........"

(ক) দানের সেরা দান কী ? 

(খ) কেন তা সেরা ? 

(গ) এখানে 'দুঃখীজন '  ও 'ভিক্ষামুঠি ' র সঙ্গে কীসের তুলনা করা হয়েছে ? 

উত্তরঃ 

(ক) দুঃখীজনের ভিক্ষামুঠিকে সেরা দান বলা হয়েছে।  

(খ) যার অনেক আছে , সে যখন কাউকে কিছু দান করে , সেটি তার সর্বস্ব দান নয় , অংশমাত্র দান।  কিন্তু এক দীন  দুঃখী যার কিছুই নেই , সে যখন কাউকে এক মুঠো ভিক্ষা দেন করে , সেই দান হয়ে ওঠে অমূল্য , তাই তা সেরা দান।  

(গ) এখানে ' দুঃখীজন ' বলতে ছোট্ট জোনাকিকে এবং 'ভিক্ষামুঠি ' বলতে জোনাকির অল্প আলোকে বোঝানো হয়েছে।  

(৪) " তাতেই বা কি লাজ " 

(ক) পংক্তিটি কথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? 

(খ) 'লাজ ' কথাটির অর্থ কী ? 

(গ) কী সে লাজ নেই ? 

উত্তরঃ 

(ক) পংক্তিটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত 'জোনাকি ' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।  

(খ) 'লাজ ' কথাটির অর্থ লজ্জা। 

(গ) আকাশের তারাদের অনেক আলো , অথচ জোনাকির বুকে আলো অনেক কম।  কবি বলেছেন , বৃষ্টি জরা রাতে জোনাকি যেন তার অল্প আলোটুকু উজার করে দেয়।  তারার মত আলো নেই বলে লজ্জা পাবার কিছু নেই। 

আরো প্রশ্ন : 

(৫)  " ও যে দেখতে ভারি , ওরে -

                    কেমন লাগে ভালো " 

(ক) কার লেখা ? কোন কবিতার অংশ ? 

(খ) এখানে কীসের কথা বলা হয়েছে ? 

(গ) সেটি কোথায় যাচ্ছিল ? 

(৬) যেটুকু তোর দেবার আছে 

দিয়ে দে তুই আজ " 

(ক) কাকে কী দেবার আছে ? 

(খ) তাকে  'যেটুকু " বলা হয়েছে কেন ? 

(গ) 'আজ ' কেন তাকে দেবার কথা বলা হয়েছে ? 

(৭) " ওযে  দুঃখীজনের ভিক্ষামুঠি ----

               দানের সেরা দান " 

(ক) অংশটিতে ' দুঃখীজন ' বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? 

(খ) তাদের দানকে সেরা দান বলার কারণ কী ? 

অন্যান্য মৌখিক প্রশ্ন : 

(১) 'জোনাকি' কবিতার কবি কে? 

(২) 'ভাতি' শব্দের অর্থ কী?

(৩) ' দুঃখীজন '  কাকে বলা হয়েছে?

(৪) কবিতায় কাদের পুজো করার কথা বলা হয়েছে ?

(৫)  কবি কাকে ভালোবাসবেন? 

(৬) জোনাকির কোথায় আলো থাকে ? 

(৭) " সাথী" শব্দের অর্থ কী? 

(৮)  কবিতায় কার সঙ্গে ' ভিক্ষামুঠির' তুলনা করা হয়েছে? 

(৯) জোনাকির আলো কেমন ? 

(১০) 'তারা, তপন, শশী" ---- কাকে কখন দেখা যায় ?

Friday, 6 November 2020

ভোরাই

 ভোরাই 

 সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত 

কবিতার প্রকৃতির বর্ণনা : 

 " ভোরাই " কথাটির অর্থ হল " ভোরের সুর " বা " ভোরবেলাকার গান"।  কবিতাটিতে কবি ভোরবেলাকার অপূর্ব প্রকৃতির এক সুন্দর দৃশ্য অঙ্কন করেছেন। উষার কোমল আলোর স্পর্শে কবি প্রকৃতির সেই অধরা মাধুরীকে নিজের সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে অনুভব করেছেন।  

   ভোর হতেই সূর্যের আলোয় পদ্মকলি বিকশিত হয়ে উঠেছে , সে যেন হাই তুলছে।  রাতের বেলায় পরম নিশ্চিন্ত সুপ্তিতে শায়িত নিদ্ মহল ভোরের আগমনে জাগ্রত হয়েছে - মৃদুমন্দ বাতাস যেন ' অথই  নিথর পাথার জলে " আল্পনা এঁকে দিয়েছে।  

    নিশীথের ঘোর অন্ধকারের পর আলোর ছোঁয়াতে সমস্ত মাঠ আলোকময় হয়ে উঠেছে।  দিগন্তে বিসৃত  সবুজ শ্যামল ধানক্ষেতে আজকে যেন সোহাগের শ্যামলিমার রঙ এঁকে দিয়েছে, আর 'সেই সোহাগের একটু পরাগ ' কচুরিপানার উপর বর্ষিত হয়েছে।  কবির মনে আলোড়ন তুলেছে উদার আকাশের নীল রঙ - অপরাজিতা যেন সেই নীল কাজললতা থেকেই একটু রঙ নিয়ে নিজের চোখে কাজল পরে নিয়েছে।  

   কবির মনে দাগ কেটেছে শরতের পেঁজা তুলোর মত মেঘের সারি- রৌদ্রের আলোয় স্নাত হয়ে সাদা পায়রাগুলি উড়ে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে আকাশ গাঙে আজ কে যেন কবুতররূপী পদ্মের পুষ্পাঞ্জলি দিয়েছে।  কবির মন আজ কল্পনার পাখায় ভর করে হালকা হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে উড়ে চলেছে নিঃসীম সৌন্দর্যলোকের দিকে।  এ যেন এক অনিকেত অভিসার যার না আছে কোন শুরু , না আছে কোন শেষ।  ভোরের অপূর্ব প্রকৃতিতে এই কল্পনাই কবির সম্বল।  

  শরতের লীলাময়ী প্রকৃতি একদিকে তার সুন্দর সুধীর সুশান্ত রূপ এবং অপরদিকে সে বিধ্বংসী।  পূর্ব আকাশের অনন্ত নীলিমা যখন মনকে তার অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দিহান করে তোলে , তখনই  পশ্চিমে কালো মেঘের জটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় ----'জীবনে সুখ -দুঃখ দুইই আছে'। আকাশে সাতটা রঙ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আর শ্বেতশুভ্র হাঁসের দল দিগন্তের পটভূমিকায় ফুটে উঠেছে - কবি মানসে অঙ্কিত হয়েছে এক অনন্য চিত্র। পুষ্পক রথে চড়ে রামধনু রঙের পাড়ওলা শাড়ি পরে লাবণ্যময়ী অপ্সরার দল যেন গগন ভেদ করে চলেছে স্বর্গের নন্দনকাননের অভিমুখে।  কবি মানস পৌঁছে গেছে ভাব সৌন্দর্যের  জগতে। 

           শিশির কণায় মাণিক ঘনায় , দূর্বাদলে দীপ জ্বলে।....... রাতের বেলায় দূর্বার ডগায় পড়া শিশিরের থেকে রৌদ্রের আলোকের প্রতিফলন আমাদেরকে ভ্রান্ত করে - -- ভ্রম হয় সেখানে বুঝি অসংখ্য দীপ জ্বলে উঠেছে।  তার ভোরের বেলায় শীতল শিথিল শিউলি যেমন বৃন্তচ্যুত  হয়ে পড়ে যায়।  শিশুরাও তেমন মাতৃক্রোড় ত্যাগ করে চলে আসে ' রূপ রস গন্ধে ভরা ' বাস্তব জগতে।  সুখস্বপ্নের সুনিশ্চিত নিশ্চিন্তের জগৎ থেকে তারা উত্তরণ করবে বাস্তব জগতে আর জানবে যে ' এ জগৎ স্বপ্ন নয়'। 

       ভোরের বেলায় বিচিত্র সব পাখির বিচিত্র কলকাকলিতে এ জগৎ হরবোলা হয়ে উঠেছে।  যে প্রভাতে ফিঙে পাখি তার বাসা তৈরির জন্য খড়কুটো নিয়ে যাচ্ছে , বুলবুলি মিষ্টি সুর তুলেছে আর পাখির গানে আনন্দে ভরে উঠেছে সেই প্রভাতে কবির মনে প্রশ্ন জেগেছে    ........

"  আজ কি উচিত ডঙ্কা দিয়ে ঝান্ডা নিয়ে ঝড় তোলা ?"

                ছন্দের জাদুকর  সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ছন্দোময় কবিতা " ভোরাই " প্রকৃত অর্থেই হয়ে উঠেছে শরতের বার্তাবহ।  এই কবিতার প্রতিটি ছত্রে প্রতিটি স্তবকে ফুটে উঠেছে শরৎকালীন প্রকৃতির ছন্দবদ্ধ রূপ।  পদ্মকলির হাইতোলা , দিগন্ত বিসৃত ধানক্ষেতের সবুজ রঙ , কচুরিপানায় সবজে , সবই শরৎ ঋতুর কথাই মনে করিয়ে দেয়।  পূর্বদিকে যখন ' থির নীলিমার ' মন ভুলানো রঙ , পশ্চিমদিকে তখন সিংহ কেশরের ন্যায় সজল মেঘের সারি, প্রকৃতির এই রূপ শরতেরই নিজস্ব। এর সাথে যোগ হয়েছে  পানসি ওজন পেঁজা তুলোর ন্যায় মেঘ, অপরাজিতার কাজল-নীল রঙ এবং " শীতল শিথিল শিউলি' র বৃন্তচ্যুত হয়ে পরে যাওয়া - যা সবই শরতেরই চিত্রকল্প। 


       


          




পোস্টমাস্টার

প্রশ্ন ও উত্তর    (১) ' পোস্টমাস্টার' গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?  উত্তরঃ  ' পোস্টমাস্টার' গল্পটি 'হিতবাদী' পত...