অরণ্যের রূপ
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
সাহিত্য মুকুল বইয়ে "অরণ্যের রূপ " অংশটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত "আরণ্যক " উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।
১৯৩৭ থেকে ১৯৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দ 'আরণ্যক ' -এর রচনাকাল। ভাগলপুরের আজমাবাদ , লবটুলিয়া , ইসমাইলপুর , রিজার্ভ ফরেস্ট এর প্রান্তসীমা -এই অঞ্চলে পরিব্যপ্ত অরণ্যই "আরণ্যক"।
" আরণ্যক " এর কাহিনী সরল ও জটিলতাবর্জিত। নায়ক সত্যচরণ ভাগলপুরের কোনো জমিদারী এস্টেটে চাকরি পেয়ে ম্যানেজার হিসেবে সেখানে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তার নাগরিক মন এই নির্জন অরণ্যবাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেও একটু একটু করে প্রকৃতি তার সম্মোহনকারী প্রভাব বিস্তার করেছে সত্যচরণের ওপরে। ক্রমে তার আর অরণ্যের থেকে সামান্য বিচ্ছেদও সহ্য হয় না।
প্রশ্ন :
(১) "একদিনের কথা জীবনে কখনও ভুলিব না "
(ক) সেদিন কী উৎসব ছিল ?
(খ) সেদিন কাছারির সিপাহীরা কী করেছিল ?
(গ) সেদিন গল্পকথক অনেক রাত পর্যন্ত কী করছিল ?
উত্তরঃ
(ক) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত " অরণ্যের রূপ " রচনাংশ থেকে জানা যায় সেদিন দোল পূর্ণিমার উৎসব ছিল।
(খ) সেদিন কাছারির সিপাহিরা ছুটি নিয়ে সারাদিন ঢোল বাজিয়ে হোলি খেলছিল। সন্ধ্যার সময়ও তাদের নাচগানের বিরাম ছিল না।
(গ) সেদিন গল্পকথক অনেক রাত পর্যন্ত নিজের ঘরে টেবিলে আলো জ্বালিয়ে হেড অফিসের জন্য চিঠিপত্র লিখছিলেন।
(২) " মনে হইল এক অজানা পরীরাজ্যে আসিয়া পড়িয়াছি "
(ক) লাইনটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? কার লেখা ?
(খ) কোন স্থানকে পরীরাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ?
(গ) ঐ জায়গায় ফাগুনের মাঝামাঝি কোন ফুল ফোটে ?
উত্তরঃ
(ক) প্রশ্নে উল্লিখিত অংশটি ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত " আরণ্যক " উপন্যাসের অন্তর্গত " অরণ্যের রূপ " শীর্ষক রচনাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
(খ) ফুলকিয়া বইহারের জ্যোৎস্না রাত্রির অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে পরীরাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
(গ) ফুলকিয়া বইহারের সমস্ত প্রান্তরে ফাগুনের মাঝামাঝি দুধলি ফুল ফোটে।
(৩) " সে জ্যোৎস্নারাত্রের বর্ণনা নাই "
(ক) কোন জায়গায় জ্যোৎস্না রাত্রির কথা বলা হয়েছে ?
(খ) সেই জায়গায় কী কী গাছ দেখা যায় ?
(গ) সেই রাত্রে সিপাহি রা কী করছিল ?
উত্তরঃ
(ক) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ' আরণ্যক ' উপন্যাসের অন্তর্গত 'অরণ্যের রূপ ' শীর্ষক রচনাংশ থেকে ফুলকিয়া বইহারের জ্যোৎস্না রাত্রির বর্ণনার কথা বলা হয়েছে।
(খ) সেই জায়গায় বড় বড় গাছ দেখা যায় না , শুধু ছোটখাটো বন ঝাউ ও কাশবন দেখা যায়।
(গ) সিপাহিরা সারাদিন আমোদ প্রমোদের পর ক্লান্ত দেহে ঘুমিয়ে পড়েছিল।
(৪) " জ্যোৎস্না রাতের দুধলি ফুলের মিষ্ট সুবাস প্রাণ ভরিয়া আঘ্রাণ করিয়াছি "
(ক) দুধলি ফুল কখন ফোটে ?
(খ) 'আঘ্রাণ ' শব্দের অর্থ কী ?
(গ) জ্যোৎস্না রাতের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ
(ক) ফাগুনের মাঝামাঝি দুধলি ফুল ফোটে।
(খ) " অঘ্রাণ " শব্দের অর্থ গন্ধ।
(গ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ' অরণ্যের রূপ ' রচনাংশে গল্পকথক ফুলকিয়া বইহারের পরিপূর্ন জ্যোৎস্না রাত্রির রূপ বর্ণনা করেছেন। নিঃশব্দ , নিস্তব্ধ সেই ছায়াবিহীন জ্যোৎস্না রাত্রির রূপ দেখে গল্পকথক মুগ্ধ হয়ে গেছেন।চকচকে সাদা বালি মেশানো জমি ও আধ শুকনো কাশ বনে জ্যোৎস্না এক অপার্থিব জগতের সৃষ্টি করেছে। সেই অপার্থিব সৌন্দর্য্য দেখে তিনি যেমন মুগ্ধ তেমনই তার মনে ভয়েরও সঞ্চার করেছে। গল্পকথক মনে করছেন তিনি যেন এক অজানা পরীরাজ্যে এসে পড়েছেন।
(৫) " মনে হইল এক অজানা পরীরাজ্যে আসিয়া পড়িয়াছি "
(ক) কার একথা মনে হয়েছিল ?
(খ) 'পরী ' কাদের বলা হয় ?
(গ) কখন তাঁর একথা মনে হয়েছিল ?
(৬) " ভগবানের সৃষ্টির একটি অপূর্ব রূপ তাহার নিকট অপরিচিত রহিয়া গেল "
(ক) কার লেখা , কোন গদ্যের অংশ ?
(খ) কোথায় এ রূপ দেখা যায় ?
(গ) সেই রূপ কেমন ছিল ?
(৭) " কলিকাতার গোলমালের মধ্যে আর ফিরিতে পারিব না "
(ক) উল্লিখিত অংশটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ?
(খ) কে কোলকাতার গোলমালের মধ্যে আর ফিরতে পারবেন না ?
(গ) কেন ফিরতে পারবেন না ?