বনভোজন
কুমুদরঞ্জন মল্লিক
বনভোজন কথাটির অর্থ হল চড়ুইভাতি। গাছপালায় ঘেরা কোনো সুন্দর জায়গায় সবাই মিলে রান্নাবান্না করে খাওয়া দাওয়া করা, আনন্দ করা , খেলাধুলা , গান বাজনা করে প্রকৃতির মধ্যে কাটানোর নামই হল বনভোজন।
ছোট ছেলেরা মাঠে একটি নদীর পাশে চড়ুইভাতি করছে। খাওয়া -দাওয়ার দিকে তাদের বেশি মন নেই। নিজেদের মধ্যে আনন্দ -কোলাহল করে সময় কাটাতেই তারা ব্যস্ত। কেউ বা অনভস্ত্য ভাবে উনান ধরাতে গিয়ে চোখ লাল করে ফেলছে। কেউ বা গাছের শুকনো মোটা সরু দল ভেঙে আনছে। পায়েস তৈরি করার জন্য তাদের কাছে আতপ চাল, দুধ , নলেন গুড় সবই আছে , কিন্তু তার থেকেও বেশি তাদের কাছে আছে বন্ধুদের সঙ্গ ও আনন্দ। কেউ বা নদীতে সাঁতার কেটে জলে ঢেউ তুলছে , কেউ বা কাঁচা মিঠে রোদে ডিগবাজি খাচ্ছে। বট গাছের ঝুড়িতে দোল খেতে খেতে কেউ বা গান গাইছে।
বন্ধুরা মিলে সবাই এতই আনন্দে মত্ত যে দিন যে শেষ হয়ে আসছে তার খেয়াল নেই।
😀 এই কবিতাটির সঙ্গে মিলিয়ে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় লেখা " বনভোজনের ব্যাপার " গল্পটি পড়লে আমার মনে হয় ছাত্র ছাত্রীরা খুবই মজা পাবে।
Thank you ma'am...
ReplyDelete