ঘোষাল পুকুর
কুমুদরঞ্জন মল্লিক
মনে রাখার বিষয় :
কালো জল :
জলের কোন রং হয় না। কিন্তু পুকুরের পাশে প্রচুর গাছপালা থাকায় তাদের ছায়া জলে পড়ায় জল কালো দেখায়।
ঘোষাল পুকুর :
ঘোষাল একটি পদবি বিশেষ। পুকুরটি ঘোষালদের। তাই গ্রামে সবাই পুকুরটিকে ঘোষাল পুকুর নামেই চেনে।
ছেলেরা ঘুরিছে :
তাল ফল সবার কাছেই খুব প্রিয়। এই ফল দিয়ে অনেকরকম মিষ্টি তৈরি হয়। সেই কারনে পাকা তাল কুড়োনোর জন্য ছেলেরা সবসময় ঘোষাল পুকুরের ধরে সবসময় ঘুরে বেড়ায়।
"এ পুকুর কিনেছি আমরা "
যেহেতু পুকুরটি ওই ছোট ছেলেটির বাড়ির লোক কিনে নিয়েছে , সেইজন্য পুকুরপাড়ের তালগাছের এবং তার ফলের মালিক তারা। এই তালের ওপর টুনির কোনো অধিকার নেই।
" শুধু এই দুটি কথা শুনি "
টুনি পুকুর ধার থেকে দুটি তাল কুড়িয়েছিল। কিন্তু সেই সময় অন্য একজন বালক জোর করে তাল দুটি নিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তখন সেই বালক জানায় যে তারা পুকুরটি কিনেছে। টুনি এই দুটো কথা শুনে মুহূর্তে বুঝতে পারে এই তালের ওপর তার কোন অধিকার নেই।
প্রথম জাগিল মার বুকে :
পুকুরটি একদা তাদের ছিল , কিন্তু অর্থের প্রয়োজনে তারা বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আজ টুনিকে তাল ফেরত দিতে বাধ্য হতে দেখে মার মনে কষ্ট হয়।
শব্দার্থ :
ঢলঢল - লাবণ্যময়
ধারে - পাশে
বাঁধাঘাটে -ইটের তৈরী ঘাট , পুকুরের ঘাট শান বাঁধানো
রাখাল - যারা গোরু চড়ায়
লাগি - জন্য
সবলে - জোর করে
বুকে চাপি- বুকের কাছে ধরে রাখা
ম্লান - মলিন , করুণ
বেচা - বিক্রি করা
জাগিল - অনুভব করল
বুকে- মনে
প্রশ্ন : (১) ঘোষাল পুকুরটি কেমন দেখতে বর্ণনা কর।
উত্তরঃ গ্রামের পথের ধারেই রয়েছে ঘোষাল পুকুর। স্বচ্ছ জলে পূর্ণ পুকুরটির
পাড়ে রয়েছে সারি সারি তালগাছ। সকাল বিকাল ছোটো ছোটো রাখাল
বালকেরা পুকুরটির বাঁধানো ঘাটে খেলা করে। তাল পেকে গাছ থেকে পড়লেই
সেগুলো কুড়াবার জন্য ছোটোরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
(২) “ কাছে গেল শিশু ম্লানমুখে”
(ক) কোন কবিতার অংশ ? কার লেখা ?
(খ) শিশুটি বলতে কার কথা বলা হয়েছে ?
(গ) শিশুটি ম্লান মুখে কার কাছে গেল ?
(ঘ) শিশুটির ম্লানমুখ ছিল কেন ?
উত্তরঃ
(২) ( ক) কুমুদরঞ্জন মল্লিকের লেখা “ ঘোষাল পুকুর” কবিতার অংশ।
(খ) শিশুটি বলতে এখানে টুনীকে বোঝানো হয়েছে।
(গ) শিশুটি ম্লান মুখে তার মায়ের কাছে গেল।
(ঘ) টুনী ঘোষাল পুকুরটির পাড় থেকে দুটি তাল কুড়িয়ে পেয়েছিল।
কিন্তু অন্য একটি শিশু টুনীর কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নিতে চায়।
কিন্তু শক্তিতে সে পেরে ওঠে না। তখন সে বলে ওঠে যে ওই পুকুরটি তারা
কিনে নিয়েছে। টুনী তখন ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তাল দুটি নামিয়ে রাখতে বাধ্য হয়।
তাই তার ম্লান মুখ ছিল।
No comments:
Post a Comment