নবম অধ্যায়
শকুনির ডিম
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
(১) অপু কোথায় কড়ি খেলতে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ অপু জেলেপাড়ায় কড়ি খেলতে গিয়েছিল। বাবুরাম পাড়ুইয়ের বাড়ির কাছে তেঁতুলতলায় খেলা জমে ওঠে।
(২) জেলেপাড়ার ছেলেদের মধ্যে ব্যতিক্রম কে ছিল ?
উত্তরঃ জেলেপাড়ার ছেলেদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল পটু। সে ব্রাহ্মণ পাড়ার ছেলে।
(৩) অপুর সঙ্গে পটুর তেমন আলাপ ছিল না কেন ?
উত্তরঃ পটুর যে পাড়ায় বাড়ি অপুদের বাড়ি থেকে তা অনেক দূর। তাই অপুর সঙ্গে পটুর তেমন আলাপ ছিল না।
(৪) অপু পটুকে প্রথম কোথায় দেখেছিল ?
উত্তরঃ অপুর প্রথম যেদিন প্রসন্ন গুরুমহাশয়ের পাঠশালায় ভর্তি হতে গিয়েছিল সেদিন সে পটুকে শান্তভাবে তালপাতা চিবুতে দেখেছিল।
(৫) পটুর অত্যন্ত শখের জিনিস কী ছিল ?
উত্তরঃ রাঙা সুতার বুনানি কড়ি রাখার ছোট্ট গেঁজেটি পটুর অত্যন্ত শখের জিনিস।
(৬) পটুর গেঁজেতে কটি কড়ি ছিল ?
উত্তরঃ পটুর গেঁজেতে সতেরোটা কড়ি ছিল।
(৭) পটুর গেঁজেতে কটি সোনা-গেঁটে কড়ি ছিল ?
উত্তরঃ পটুর গেঁজেতে সাত টি সোনা-গেঁটে কড়ি ছিল।
(৮) পটুর গেঁজেতে কত কড়ি ধরে ?
উত্তরঃ পটুর গেঁজেতে এক পণ কড়ি ধরে।
(৯) পটু কয়েকদিন আগে কী আবিষ্কার করেছিল ?
উত্তরঃ কড়ি-খেলায় পটুর হাতের লক্ষ্য অব্যর্থ হয়ে উঠেছে , এই সত্যটি সে কয়েকদিন আগে আবিষ্কার করেছিল।
(১০) জেলেপাড়ার ছেলেরা পটুকে খেলার কী শর্ত দিয়েছিল ও কেন ?
উত্তরঃ জেলেপাড়ার ছেলেরা পটুকে বলে যে তাকে আরোও একহাত দূর থেকে কড়ি মারতে
হবে। কারণ পটুর হাতের টিপ বেশি।
(১১) কড়ি খেলতে গিয়ে পটুর কী দুর্দশা হয়েছিল ?
উত্তরঃ পটু জেলেপাড়ায় কড়ি খেলতে গিয়ে অনেক কড়ি জিতেছিল। কিন্তু জেলেপাড়ার ছেলেরা তাকে মারধর করে কড়ি কেড়ে নেয়।
(১২) পটুর দুর্দশায় অপু প্রথমে খুশি হয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ পটুর কাছে অপুও অনেক কড়ি হেরেছিল। তাই জেলেপাড়ার ছেলেদের কাছে পটুর দুর্দশায় অপু প্রথমে খুশি হয়েছিল।
(১৩) " অপু কাউকে একথা এখনো বলে নাই"
উত্তরঃ জেলেপাড়ায় কড়ি খেলতে গিয়ে জেলেপাড়ার ছেলেদের হাত থেকে পটুকে বাঁচাতে গিয়ে অপুও মার খায়। একথা অপু কাউকে একথা এখনো বলে নি।
(১৪) " সর্ব-দর্শন সংগ্রহ " বইটি অপু কোথায় পায় ?
উত্তরঃ " সর্ব-দর্শন সংগ্রহ " বইটি অপু তার বাবার বইয়ের বাক্সে পায়।
(১৫) " একদিন সে পড়িল বড় অদ্ভত কথাটা !" ---- কথাটা কী ?
উত্তরঃ " সর্ব-দর্শন সংগ্রহ " বইয়ে অপু পড়েছিল শকুনির ডিমের মধ্যে পারদ পুরে কয়েকদিন রোদে রাখতে হয় , পরে সেই ডিম মুখের ভিতর পুরে মানুষ ইচ্ছা করলে শূন্যমার্গে যেদিকে ইচ্ছা বিচরণ করতে পারে।
(১৬) " সর্ব-দর্শন সংগ্রহ " বইটি অপু কোথায় লুকিয়ে রাখে ?
উত্তরঃ " সর্ব-দর্শন সংগ্রহ " বইটি অপু তার ডালাভাঙা বাক্সে লুকিয়ে রাখে।
(১৭) শকুনিরা কোথায় বাসা বাঁধে অপু কাকে কাকে জিজ্ঞাসা করেছিল ?
উত্তরঃ শকুনিরা কোথায় বাসা বাঁধে অপু তার দিদি দুর্গা , পাড়ার ছেলেদের - সতু , নীপু , কিনু , পটল ,নেড়া সকলকে জিজ্ঞাসা করেছিল।
(১৮) পারদ মানে কী ? পারদ অপু কথা থেকে সংগ্ৰহ করবে ভেবেছিল ?
উত্তরঃ পারদ মানে পারা। অপুদের বাড়িতে একটা ভাঙা আয়না আছে। আয়নার পিছনে পারা মাখানো থাকে। অপু সেখান থেকে পারদ সংগ্রহ করবে ভেবেছিল।
(১৯) " সন্ধান অবশেষে মিলিল " --- অবশেষে কী মিলল ? কার কাছে মিলল ?
উত্তরঃ অপু যে শকুনির ডিমের সন্ধান করছিল তার সন্ধান মিলল। হীরু নাপিতের কাঁঠালতলায় জটলা করা রাখালদের কাছ থেকে শকুনির ডিমের সন্ধান করছিল সন্ধান মিলল।
(২০) রাখালের কাছ থেকে অপু ক'পয়সায় শকুনির ডিম কেনে ?
উত্তরঃ রাখালের কাছ থেকে অপু চার পয়সায় শকুনির ডিম কেনে।
(২১) কিসের বিনিময়ে অপু রাখালের কাছ থেকে শকুনির ডিম সংগ্রহ করেছিল ?
উত্তরঃ চার পয়সা ও কিছু কড়ির বিনিময়ে অপু রাখালের কাছ থেকে শকুনির ডিম সংগ্রহ করেছিল।
(২২) শকুনির ডিম হাতে পেয়ে অপু কী ভাবে ?
উত্তরঃ শকুনির ডিম মুখে পুরে সে কোথায় যাবে , মামার বাড়ির দেশে নাকি বাবা যেখানে আছে , নাকি নদীর ওপারে অপু এই কথাই ভাবছিল।
(২৩) শেষ পর্যন্ত শকুনির ডিমের কী অবস্থা হয় ?
উত্তরঃ সলতে পাকাবার জন্য দুর্গা ছেঁড়া ন্যাকড়া খুঁজতে গিয়ে তাকের উপর হাঁড়ি-কলসির পাশে গোঁজা ছেঁড়া -খোঁড়া কাপড়ের টুকরোর তাল হাতড়াতে হাতড়াতে তার হাত লেগে শকুনির ডিম মেঝের উপরে গড়িয়ে পড়ে ভেঙে যায়।
(২৪) " অপু সমস্ত দিন খাইল না " -- কেন ?
উত্তরঃ এত কষ্ট করে জোগাড় করা শকুনির ডিম ভেঙে যেতে প্রচন্ড রাগ ও অভিমানে অপু সারাদিন কিছু খেল না।
দশম অধ্যায়
মুচুকুন্দ -চাঁপা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
( ১) গ্রামের কোন বৃদ্ধের সঙ্গে অপুর খুব ভাব ছিল ?
উত্তরঃ গ্রামের বৃদ্ধ নরোত্তম দাস বাবাজির সঙ্গে অপুর বড় ভাব ছিল।
(২) নরোত্তম দাস বাবাজি দেখতে কেমন ছিলেন ? তিনি কোথায় বাস করতেন ? তিনি কোন ধর্মের মানুষ ছিলেন ?
উত্তরঃ নরোত্তম দাস বাবাজি ছিলেন গৌরবর্ণ , সদানন্দ বৃদ্ধ।
তিনি সামান্য একখানি খড়ের ঘরে বাস করতেন। তিনি বিশেষ গোলমাল ভালোবাসেন না , তাই নির্জনে থাকতে ভালবাসতেন।
তিনি বৈষ্ণব ধর্মের মানুষ ছিলেন।
(৩) অপুর সঙ্গে নরোত্তম দাসের সঙ্গে ভাব হয়েছিল কিকরে ?
উত্তরঃ অপুর ছোটবেলা থেকেই হরিহর তাকে সঙ্গে করে মাঝে মাঝে নরোত্তম দাসের কাছে নিয়ে যেতেন , সেই থেকেই অপুর সঙ্গে নরোত্তম দাসের সঙ্গে ভাব হয়েছিল।
(৪) অপু ও নরোত্তম দাস পরস্পরকে কী বলে সম্বোধন করত ?
উত্তরঃ অপু নরোত্তম দাসকে 'দাদু' বলে সম্বোধন করত এবং নরোত্তম দাস অপুকে 'দাদাভাই' বলে সম্বোধন করত।
(৫) নরোত্তম দাসের কাছে এলে অপুর কেন সঙ্কোচ লজ্জা দূর হয়ে যায় ?
উত্তরঃ নরোত্তম দাসের সহজ-সরল অনাড়ম্বর জীবনযাত্রার জন্য নরোত্তম দাসের কাছে এলে অপুর সঙ্কোচ লজ্জা দূর হয়ে যায়।
(৬) নরোত্তম দাস বাবাজি অপুকে কী বলেন ?
উত্তরঃ নরোত্তম দাস বাবাজি অপুকে 'বালক গোরা ' বলেন।
(৭) অপু নরোত্তম দাসের কাছে কী বই দেখতে চেয়েছিল ? বইটিতে কটি ছবি ছিল ?
উত্তরঃ অপু নরোত্তম দাসের কাছে " প্রেমভক্তি - চন্ডিকা " বইটি দেখতে চেয়েছিল।
বইটিতে ছবি ছিল মাত্র দুটি।
(৮) নরোত্তম দাস বাবাজির কাছে আসার জন্য অপুর আকর্ষণের কারণ কী ?
উত্তরঃ সহজ সামান্য অনাড়ম্বর জীবনের গতিপথ বেয়ে এখানে কেমন একা অন্তঃসলিলা মুক্তির ধারা সে খুঁজে পায় , বৃদ্ধ নরোত্তম দাস বাবাজির সাহচর্য , মাটি, বিচিত্র পাখি ও গাছপালার সাহচর্যের মতো মনে হয়।
(৯) বৃদ্ধ নরোত্তম দাস বাবাজির বাড়ি থেকে ফেরার সময় অপু কী নিয়ে আসে ?
উত্তরঃ বৃদ্ধ নরোত্তম দাস বাবাজির বাড়ি থেকে ফেরার সময় অপু তাঁর উঠানের গাছতলাটা থেকে একরাশি মুচুকুন্দ চাঁপা ফুল নিয়ে আসে।
(১০) অপু রাতে বিছানায় শুয়ে কী ভাবে ?
উত্তরঃ অপু রাতে বিছানায় শুয়ে সেদিনের সব খেলাধুলা , সারাদিনের সকল আনন্দের স্মৃতির কথা ভাবতে থাকে। বিছানায় শুয়ে মুচুকুন্দ চাঁপা ফুলের রাশির মধ্যে মুখ ডুবিয়ে ঘ্রাণ নেয়।