Thursday, 15 September 2022

বহুরূপী সুবোধ ঘোষ

 অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর 

(১) " হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম।,"

--- 'আমরা' বলতে এখানে কাদের বোঝানো হয়েছে ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।  এখানে 'আমরা' বলতে স্বয়ং গল্পকথক  ও তাঁর বন্ধু ভবতোষ , অনাদি ছাড়াও অন্যদের বোঝানো হয়েছে। 


(২) হৃদয়ের কাছে লেখক ও তাঁর বন্ধুরা কী গল্প করেছিলেন ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।                                 হিমালয়ের এক উঁচুদরের সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর বাড়িতে সাত দিন ছিলেন। তাঁর বয়স হাজার বছরেরও বেশি। তিনি বছরে একটিমাত্র হরীতকী খান।  সেই গল্পই গল্পকথা ও তাঁর বন্ধুরা করেছিলেন।  

(৩) " বাঃ , এ তো বেশ মজার ব্যাপার !" 

---- মজার ব্যাপারটি কী ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ। 

         মজার ব্যাপারটি হল সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো দুর্লভ হলেও কাঠের খড়মে সোনার বোল  লাগিয়ে তাঁর পায়ের কাছে ধরতেই তিনি পা বাড়িয়ে দিলেন।  সেই ফাঁকে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন। 

(৪) " গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা " 

---- হরিদার গম্ভীর হওয়ার কারণ কী ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ। 

          সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী সোনার বোল লাগানো কাঠের খড়ম ও একশো  এক টাকা পেয়ে তৃপ্তির হাসি হাসেন।  এ কথা শুনে সন্ন্যাসীর প্রতি হরিদার বিশ্বাস তলে যায়।  তিনি গম্ভীর হয়ে যান।  

(৫) " কিন্তু ওই ধরনের কাজ হরিদার জীবনের পছন্দই নয় "

---- কোন ধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ। 

                    অভাবী হরিদা ইচ্ছে করলেই কোনো অফিসে বা দোকানে একটা কাজ পেতে পারতেন।  কিন্তু ঘড়ি ধরে নিয়ম করে রোজ একটা চাকরি করা হরিদার পছন্দ ছিল না।  

(৬) " খুব হয়েছে হরি , এইবার সরে পড়ো। অন্যদিকে যাও। "

---  কে , কেন কথাটি বলেছেন ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ। 

            একদিন দুপুরে চকের বাস স্ট্যান্ডে হরিদা পাগলের ছদ্মবেশে হাতে থান ইট নিয়ে বাসে -বসা যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন।  সেই প্রেক্ষিতেই বাস ড্রাইভার কাশীনাথের এই উক্তি।  

(৭) " কিন্তু দোকানদার হেসে ফেলে ---- হরির কান্ড !" 

----- হরির কান্ড দেখে দোকানদার হেসে ফেলেছিলেন ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ। 

           এক সন্ধ্যায় বাইজির ছদ্মবেশে হরি শহরের পথে ঘুঙুরের মিষ্টি শব্দ করে হেঁটে চলে।  নতুনরা অবাক হলেও দোকানদার হরিকে চিনতে পেরে হেসে ফেলে। 

(৮) " এবারের মতো মাপ  করে দিন ওদের। "

----- এ কথা কে কাকে বলেছিলেন ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।

       দয়ালবাবুর  লিচু বাগানে যখন পুলিশের ছদ্মবেশে হরিদা স্কুলের চারটে ছেলেকে ধরেছিলেন ,তখন স্কুলের মাস্টারমশাই এ কথা বলেছিলেন। 

(৯) " বাঃ , সত্যি ,খুব চমৎকার পুলিশ সেজেছিল হরি !" 

- কে , কখন এ কথা বলেছিলেন ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।

                 দয়ালবাবুর লিচু বাগানে স্কুলের মাস্টারমশাই পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়ে আট আনা ঘুষ দিয়ে ছেলেদের ছাড়িয়ে আনার পরে পুলিশের আসল পরিচয় জানতে পেরে তখনই এই প্রশংসা সূচক মন্তব্য করেন। 

(১০) " বড়ো চমৎকার আজকে এই সন্ধ্যার চেহারা। "

-- সন্ধ্যার চেহারাটির বর্ণনা দাও। 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।

            সেই সন্ধ্যার চাঁদের আলোর একটা স্নিগ্ধ ও শান্ত উজ্জ্বলতা চারদিকে ফুটে উঠেছিল।  ফুরফুর করে বাতাস বইছিল।  জগদীশবাবুর বাগানের গাছের পাতাগুলো ঝিরঝির শব্দ করছিল।  

(১১) " চমকে উঠলেন জগদীশবাবু। "

-- জগদীশবাবুর চমকে ওঠার কারণ কী ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।

            আদুড় গায়ে, সাদা উত্তরীয় জড়ানো , ছোটো সাদা থান , মাথায় সাদা চুল , পায়ে ধুলো মাখা বিরাগীকে দেখে জগদীশবাবুর চমকে উঠলেন। 

(১২) " আমার অপরাধ হয়েছে। " 

--- কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।

             বিরাগীর ছদ্মবেশে হরিদাকে দেখে জগদীশবাবু নেমে এসে বিরাগীকে অভ্যর্থনা না-জানানোয় বিরাগী অসন্তুষ্ট হন।  সেই অসন্তোষকে শান্ত করতেই জগদীশবাবুর এমন উক্তি। 

(১৩) " না না , হরিদা নয়।  হতেই পারে না। "

--- বক্তা ও তার সঙ্গীদের এই বিশ্বাসের কারণ কী ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।

         বিরাগীর গলার স্বর , মুখের ভাষা ও চোখের দৃষ্টির সঙ্গে হরিদার কোনো মিল না থাকায় বিরাগীকে বক্তা ও তার বন্ধুদের হরিদা বলে মনে করে নি।  

(১৪) " পরম সুখ" বলতে বিরাগী কী বুঝিয়েছেন ? 

উত্তরঃ 

সুবোধ ঘোষের লেখা 'বহুরূপী ' গল্পে বিরাগীর মতানুসারে , সব সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে অনন্তের সাধনায় আত্মনিয়োগ করতে পারলেই 'পরমসুখ' লাভ করা যায়। 

(১৫) জগদীশবাবুকে বিরাগী কী উপদেশ দেন ? 

উত্তরঃ 

বিরাগী জগদীশবাবুকে বলেন , ধন -জন-যৌবন আসলে মোহময় বঞ্চনা।  মন-প্রাণ দিয়ে একজনের আপন হতে চেষ্টা করলে সৃষ্টির সব ঐশ্বর্যই লাভ করা যায়। 

(১৬) তীর্থযাত্রা সম্পর্কে বিরাগীর অভিমত কী ছিল ? 

উত্তরঃ 

জগদীশবাবু তীর্থ ভ্রমণের জন্য বিরাগীকে একশো টাকা দিতে চাইলে বিরাগী বলেন , মানুষের অন্তরেই ঈশ্বরের বাস , সকল তীর্থের মিলনস্থল।  তাই আলাদাভাবে তীর্থদর্শনের প্রয়োজনীয়তা নেই। 

(১৭) " চমকে ওঠে ভবতোষ। " --ভবতোষের চমকে ওঠার কারণ কী ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।

               হরিদার বাড়িতে ঢুকে তার পোশাক ইত্যাদি দেখে ভবতোষরা বুঝতে পারল যে, হরিদাই আসলে বিরাগী।  তখন তারা চমকে ওঠে।  

(১৮) " তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়। " 

----- বক্তা কোন প্রসঙ্গে উক্তিটি করেছেন ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।

     এক্ষেত্রে  বক্তা হলেন হরিদা।  জগদীশবাবু বিরাগীবেশী হরিদাকে প্ৰণামী দিতে গেলে তিনি তা নেন না।  কারণ সে বিরাগীর ছদ্মবেশে টাকা নিলে তাতে অভিনয়ের ঢং নষ্ট হয়।  

(১৯) " অনাদি বলে-  এটা কী কান্ড করলেন হরিদা ?"

---   এখানে কোন কাণ্ডের কথা বলেছেন ? 

উত্তরঃ উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।

          গল্প অনুসারে বিরাগীর বেশধারী হরিদাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে জগদীশবাবু তাকে খাঁটি সন্ন্যাসী ভেবে একশো এক টাকা দিতে চাইলে বিরাগী-রূপী হরিদা তা হেলায় ফেলে দিয়ে চলে আসেন।  এখানে সেই কাণ্ডের কথাই বলা হয়েছে।  

(২০) " আমি বিরাগী , রাগ নাম কোনো রিপু আমার নেই। "

---- বক্তার এ কথা বলার কারণ কী ? 

উত্তরঃ 

উল্লিখিত অংশটি সুবোধ ঘোষের 'বহুরূপী' গল্পের অংশ।

          এক প্রকৃত সন্ন্যাসী আসলে সমস্ত জৈবিক প্রবৃত্তিকে জয় করে।  তখন সে কাম - ক্রোধ -লোভ ইত্যাদি ষড়রিপুর আর বশবর্তী থাকে না।  বিরাগী - রূপী হরিদা সে-কথাই বলেছেন। 



















No comments:

Post a Comment

পোস্টমাস্টার

প্রশ্ন ও উত্তর    (১) ' পোস্টমাস্টার' গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?  উত্তরঃ  ' পোস্টমাস্টার' গল্পটি 'হিতবাদী' পত...