অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
(১) 'কল্যাণীয়া মিস নোব্ল্ ' বলে সম্বোধন করে স্বামী বিবেকানন্দ যাঁকে চিঠি লিখেছেন তাঁর সম্পূর্ণ নাম কী ?
উত্তরঃ
'কল্যাণীয়া মিস নোব্ল্ ' বলে সম্বোধন করে স্বামী বিবেকানন্দ যাঁকে চিঠি লিখেছেন তাঁর সম্পূর্ণ নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোব্ল্ ।
(২) " স্টার্ডি -র একখানি চিঠি কাল পেয়েছি। " -- স্টার্ডি কে ?
উত্তরঃ
মি. ই. টি. স্টার্ডি ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের একজন ইংরেজ ভক্ত , যিনি স্বামীজিকে ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারে সহায়তা করেন।
(৩) "...... তা তুমি ধারণা করতে পারো না। " --- কী ধারণা করতে না পারার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ
স্বামীজি মিস নোব্ল্কে ভারতবর্ষের মানুষের দুঃখ , কুসংস্কার , দাসত্ব প্রভৃতির ব্যাপকতা সম্পর্কে ধারণা করতে না পারার কথা বলেছেন।
(৪) "...... এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে। ....." ----
বিশ্বাস টি কী ?
উত্তরঃ
স্বামীজির দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে , ভারতের কাজে মিস
নোবেলের এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে।
(৫) ভারতের নারী সমাজের উন্নতির জন্য কেমন ব্যক্তির প্রয়োজন ?
উত্তরঃ
ভারতের নারী সমাজের উন্নতির জন্য একজন প্রকৃত সিংহীর মতো তেজস্বিনী নারীর প্রয়োজন।
(৬) '..... তুমি ঠিক সেইরূপ নারী , জেক আজ প্রয়োজন। "
---- মিস নোব্ল্ -এর মধ্যে কোন গুণাবলীর লক্ষ্য করে স্বামীজি এ কথা বলেছেন ?
উত্তরঃ
মিস নোব্ল্ -এর শিক্ষা , ঐকান্তিকতা , পবিত্রতা , অসীম ভালোবাসা , দৃঢ়তা ইত্যাদি গুণ লক্ষ্য করে স্বামীজি এই কথা বলেছেন।
(৭) " কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু " ----- কোন কাজে বিঘ্ন আছে ? বিঘ্নগুলি কী কী ?
উত্তরঃ
ভারতবর্ষের বিশেষত ভারতের নারীসমাজের সার্বিক উন্নয়নের কাজে প্রচুর বিঘ্ন আছে।
ভারতবর্ষের দুঃখ , কুসংস্কার , দাসত্ব , জাতিভেদ , অস্পৃশ্যতা ইত্যাদি দেশের উন্নতির কাজে বিঘ্ন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
(৮) মিস নোব্ল্ এদেশে এলে কীভাবে নিজেকে দেখতে
পাবেন ?
উত্তরঃ
মিস নোব্ল্ এদেশে এলে নিজেকে অসংখ্য অর্ধ-উলঙ্গ নরনারীতে পরিবেষ্টিত দেখতে পাবেন।
(৯) ভয়ে বা ঘৃণায় ভারতীয়রা শ্বেতাঙ্গদের কী করে ?
উত্তরঃ
ভয়ে বা ঘৃণায় ভারতীয়রা শ্বেতাঙ্গদের এড়িয়ে চলে।
(১০) শ্বেতাঙ্গরা ভারতীয়দের প্রতি কীরূপ মনোভাব পোষণ করে ?
উত্তরঃ
শ্বেতাঙ্গরা ভারতীয়দের প্রতি অত্যন্ত ঘৃণার মনোভাব পোষণ করে।
(১১) 'চিঠি ' গদ্যাংশে স্বামীজি ভারতবর্ষের জলবায়ু কেমন বলে বর্ণনা করেছেন ?
উত্তরঃ
ভারতবর্ষের জলবায়ু অত্যন্ত গ্রীষ্মপ্রধান। এদেশের শীত ইউরোপের গ্রীষ্মের মতো আর দক্ষিণাঞ্চলে সর্বদাই আগুনের হলকা প্রবাহিত হয়।
(১২) " এসব সত্ত্বেও যদি তুমি কর্মে প্রবৃত্ত হতে সাহস কর "
---- এখানে 'এসব' বলতে কোন সবের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ
ভারতবর্ষের মানুষের দুঃখ , কুসংস্কার , দাসত্ব, অস্পৃশ্যতা , এখানকার গ্রীষ্মপ্রধান জলবায়ু এবং ইউরোপীয় সুখস্বাচ্ছন্দ্যের অভাবের কথা বলা হয়েছে।
(১৩) কর্মে ঝাঁপ দেওয়ার পরে সাফল্যের পাশাপাশি আর কী কী ঘটার সম্ভাবনা থাকতে পারে ?
উত্তরঃ
মানবসেবার কর্মে ঝাঁপ দেওয়ার পর সে কাজে বিফল হওয়ার এবং কর্মে বিরক্তি আসার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
(১৪) " মরদ কি বাত হাতি কা দাঁত " --- প্রবাদটির অর্থ লেখ।
উত্তরঃ
প্রবাদটির অর্থ হল , প্রকৃত মানুষ কথা দিলে সবরকমভাবে সেই কথা রাখার চেষ্টা করে , তার নড়চড় হয় না।
(১৫) " আবার তোমাকে একটু সাবধান করা দরকার.........."
--- কী বিষয়ে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে সাবধান করা দরকার ?
উত্তরঃ
ভারতে জনসেবামূলক কাজ করার ক্ষেত্রে মিস মুলার কিংবা অন্যের আশ্রয়ে না থেকে মিস নোব্ল্কে আত্মনির্ভর হতে হবে।
(১৬) মিসেস সেভিয়ার কেমন মহিলা ?
উত্তরঃ
মিসেস সেভিয়ার অত্যন্ত ভালো ও স্নেহময়ী মহিলা। স্বামীজি তাঁকে " নারীকুলের রত্নবিশেষ " বলে উল্লেখ করেছেন।
(১৭) সেভিয়ার দম্পতি কেমন মানুষ ?
উত্তরঃ
সেভিয়ার দম্পতি ভারতবর্ষের মানুষকে ঘৃণা করেন না এবং ভারতীয়দের ওপর কর্তৃত্ব ফ্ল্যাটে তাঁরা এদেশে আসেননি।
(১৮) স্বামীজি মিস নোব্ল্কে ম্যাকলাউড আর বুলের সঙ্গে এদেশে আসার পরামর্শ দিয়েছেন কেন ?
উত্তরঃ
মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুলের সঙ্গে এদেশে এলে মিস নোব্ল্-এর দীর্ঘপথের যাত্রার একঘেয়েমি দূর হতে পারে বলে স্বামীজি এই পরামর্শ দিয়েছেন।
(১৯) মি. স্টার্ডির লেখা চিঠিটি কেমন ছিল ?
উত্তরঃ
মি. স্টার্ডির লেখা চিঠিটি ছিল বড়ো শুষ্ক , প্রাণহীন এবং হতাশাপূর্ণ।
(২০) মি. স্টার্ডি হতাশ হয়েছিলেন কেন ?
উত্তরঃ
লন্ডনের কাজ পন্ড হওয়ায় মি. স্টার্ডি হতাশ হয়েছেন বলে তাঁর চিঠিতে সেই হতাশা ফুটে উঠেছিল।