Tuesday, 13 April 2021

"তোতাকাহিনি " (প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা )


তোতাকাহিনি 

 সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা লেখ :  

(১) " অল্প পুঁথির কর্ম নয় " 

উল্লিখিত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'তোতাকাহিনি' থেকে নেওয়া হয়েছে।  

        এক মূর্খ তোতা পাখি ছিল।  সে গান গাইত , লাফাত , উড়ত  কিন্তু শাস্ত্র পড়ত  না। কায়দাকানুন কাকে বলে জানত না।  পাখিকে অত্যন্ত অকেজো মনে হল রাজার।  তাই তাকে শিক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।  রাজার ভাগ্নের পাখিটার শিক্ষার আয়োজন শুরু করলেন।  বড়ো বড়ো পন্ডিতেরা এসে পাখিটাকে দেখলেন তখন পাখিটাকে শিক্ষা দেওয়ার প্রসঙ্গে উল্লিখিত উক্তিটি করেন।  

              পন্ডিতদের পরামর্শক্রমে স্যাকরা এসে পাখির শিক্ষার জন্য শিক্ষায়তন হিসেবে সোনার খাঁচা বানাতে বসল।  সেই আশ্চর্য মূল্যবান খাঁচাটি দেখতে দেশবিদেশের লোক সপ্রশংস দৃষ্টিতে তার ওপর ঝুঁকে পড়ল।  এরপর পন্ডিতেরা পাখিকে শিক্ষাদানের জন্য উপযুক্ত পুঁথি রচনায় মনোযোগী হলেন।  যথার্থ শিক্ষাদান যেহেতু 'অল্প পুঁথির কর্ম নয় ' , সেহেতু তাঁরা লিপিকরদের নিয়ে রাশিরাশি পুঁথির নকল করাতে শুরু করলেন। 

(২) " শুধু শব্দ নয় , পিছনে অর্থও কম নয় "

উল্লিখিত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'তোতাকাহিনি' থেকে নেওয়া হয়েছে। 
         রাজভাগনে রাজাকে এ কথা জানিয়েছিলেন।  তোতার শিক্ষা কীভাবে চলছে , তা দেখার জন্য রাজা তাঁর পাত্র , মিত্র, অমাত্যদের নিয়ে শিক্ষালয়ে পা রাখা মাত্র   শঙ্খ , ঘন্টা , ঢাক , ঢোল , কাড়া নাকাড়া , রণশিঙা , পটহ , রণভেরি , কাঁশি , বাঁশি , কাঁসর , খোল , করতাল , পাখোয়াজ , জয়ঢাক প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বেজে ওঠে।  পন্ডিতদের মন্ত্রপাঠ  এবং সমবেত জনতার জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারিদিক।  গর্বিত , আনন্দিত ভাগনে রাজাকে সেই 'কান্ডটা ' লক্ষ করতে বললে রাজা বলেন 'আশ্চর্য ' ! শব্দ কম নয়। ' এরই উত্তরে ভাগনে প্রশ্নে উল্লিখিত  উক্তিটি করেন। 
             ভাগনের বক্তব্য হল রাজার আগমন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র , মন্ত্রপাঠ ও সমবেত জনতার জয়ধ্বনির যে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন করা হয়েছে , তার জন্য বিপুল অর্থও  ব্যয়িত হয়েছে।  পাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল বিদ্যালয় পরিদর্শন।  বিদ্যালয়ে শিক্ষার অগ্রগতি দেখার জন্য স্কুল-পরিদর্শকেরা মাঝে মাঝেই পরিদর্শনে আসেন।  কিন্তু স্কুল - পরিদর্শনে এসে , স্কুল - কতৃপক্ষের কাছে তাঁরা এতখানিই সমাদর লাভ করেন যে , তাঁরা সেখানে আসার উদ্দেশ্যই কখনো কখনো ভুলে যান।  সেই আড়ম্বরপূর্ণ অর্থ -ব্যয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীর মঙ্গলের পরিবর্তে পরিদর্শকের তুষ্ট করার অনৈতিক উদ্দেশ্যই লুকিয়ে থাকে। 

(৩) স্যাকরা থলি বোঝাই করিয়া  বকশিশ পাইল।    

উল্লিখিত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'তোতাকাহিনি' থেকে নেওয়া হয়েছে।  
      " তোতাকাহিনি " পাঠ্যাংশে এক মূর্খ তোতা পাখি ছিল।  সে গান গাইত , লাফাত , উড়ত  কিন্তু শাস্ত্র পড়ত  না। কায়দাকানুন কাকে বলে জানত না।  পাখিকে অত্যন্ত অকেজো মনে হল রাজার।  তাই তাকে শিক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।  রাজার ভাগ্নের পাখিটার শিক্ষার আয়োজন শুরু করলেন।  বড়ো বড়ো পন্ডিতেরা এসে পাখিটাকে দেখলেন  এবং বললেন যে পাখিটির জন্য একটি   পাখির সোনার  খাঁচা বানাতে হবে। খাঁচা  বানানোর জন্য স্যাকরা  থলি বোঝাই করে বকশিশ পেয়ে  বাড়ির দিকে  পাড়ি  দিয়েছিল।  
                পন্ডিতেরা বলেছিলেন ছোট্ট তোতা পাখিটির অবিদ্যার কারণ তার ক্ষুদ্র বাসা।  তাই পন্ডিতরা নির্দেশ দেন যে পাখির শিক্ষা উপযুক্তভাবে পরিচালনার জন্য 
সর্বাগ্রে একটি ভালো খাঁচা তৈরী করা প্রয়োজন।  পাখির শিক্ষায়তন হিসেবে স্যাকরা সোনার খাঁচা বানায় এবং সেই মহার্ঘ খাঁচাটি এত অসামান্য সুন্দর দেখতে হয় , দেশ বিদেশের লোক সপ্রশংস দৃষ্টিতে তা দেখতে আসে।  শিক্ষা নয় , শিক্ষার আয়োজনে মুগ্ধ  হয়ে রাজা তাই স্যাকরাকে থলি বোঝাই করে বকশিশ দেন।  



      









Monday, 12 April 2021

" তোতা কাহিনি " ...(প্রশ্ন ও উত্তর )

" তোতা কাহিনি " 

প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন : (১) " পাখিটাকে শিক্ষা দাও ---" 

(ক) পাখিটার শিক্ষার জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল ? 

(খ) পাখিটার শেষ পরিণতি কী হয়েছিল ? 

উত্তরঃ 

(ক) তোতাকে শিক্ষিত করার প্রয়োজনে প্রথমেই রাজপন্ডিতদের পরামর্শে স্যাকরাকে  দিয়ে একটি ভালো সোনার খাঁচা তৈরি করা হয়।  সেই খাঁচায় নিয়মতন্ত্রের বেড়াজালে তোতাকে বন্দি করা হয়।  

                        এরপর পন্ডিতেরা লিপিকরদের ডেকে রাশি রাশি পুঁথি নকল করে পর্বত প্রমাণ স্তূপ নির্মান করেন।  খাঁচাটাকে কেন্দ্র করে তদারকি , মেরামতি , ঝাড়া-মোছা , পালিশ ইত্যাদি আয়োজনের সীমা রইল না।  প্রচুর লোক তোতার শিক্ষার বিভিন্ন দায়িত্ব নিযুক্ত হল এবং তাদের ওপর নজর রাখার জন্য বহু লোক নিযুক্ত হল।  শিক্ষার জন্য রাজকোষ থেকে প্রচুর অর্থ ব্যয় হতে লাগল।  

(খ) মুক্ত তোতাটিকে সোনার খাঁচায় বন্দি করে রাশি রাশি পুঁথির পাতা জোরপূর্বক কলমের ডগা দিয়ে মুখের মধ্যে ঠেসে দিয়ে শিক্ষার নাম নির্মম পীড়নের জন্য পাখিটি মারা গিয়েছিল।  

(২) " নিন্দুকের যেন আচ্ছা ক্রিয়া কান মলিয়া দেওয়া হয়। ......." 

(ক) কার লেখা ? কোন গল্পের অংশ ? 

(খ) কাকে বলেছেন ? কখন বলেছেন ? 

(গ) নিন্দুকের কেন কান মুলে দিতে হবে ? 

উত্তরঃ 

(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ' তোতাকাহিনি ' গল্পের অংশ। 

(খ) রাজামশাই যখন তোতা পাখিটি ও তার শিক্ষার আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন দেখে ফায়ার যাচ্ছিলেন তখন কানমলা সর্দারকে বলেন যে নিন্দুকের যেন কান মুলে দেওয়া হয়।  

(গ) সোনার খাঁচার ভিতরে বাইরে আড়ম্বরের বাহুল্যে তোতাপাখিটিকে প্রায় দেখাই যায় না।  তবু নিন্দুকদের নিন্দাবাদ ও মন্দ রটনা বন্ধ করার জন্যই রাজা পাখিটিকে দেখলেন।  তিনি দেখলেন যে  , খাঁচাটার মধ্যে তুচ্ছ দানা -পানি রাখা হয়নি , তবে রাশি রাশি পুঁথির পাতা ছিঁড়ে কলমের ডগা দিয়ে পাখির মুখের ঠাসা হচ্ছে।  পাখির গান তো সে কারণে বন্ধই তার চিৎকার করারও কোনো আর উপায় রাখা হয়নি।                                  তোতার  শিক্ষার  এই পরিণতি দেখে রাজা বুঝতে পারলেন যে নিন্দুকেরা মিথ্যে কথা বলছে।  তাই তিনি কানমলা সর্দারকে নির্দেশ দিলেন নিন্দুকের কান মিলে দিয়ে যেন তাকে শাস্তি দেওয়া হয়।  

(৩) " তাদের সংসারে আর টানাটানি রহিল না। " 

(ক) কার লেখা , কোন গল্পের অংশ ? 

(খ) এখানে কাদের সংসারের কথা বলা হয়েছে ? 

(গ) কেন টানাটানি রইল না ? 

উত্তরঃ 

(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা " তোতাকাহিনি " গল্পের অংশ।  

(খ) পুঁথির লিপিকরদের সংসারের কথা বলা হয়েছে।  

(গ) মূর্খ বন্য পাখিটিকে শিক্ষিত করে তুলতে এসে পন্ডিতেরা জানান যে এই শিক্ষাদান " অল্প পুঁথির কর্ম নয়। " তাই বহু সংখ্যক পুঁথির প্রয়োজন পড়ে।  পুঁথি লেখকরা রাশি রাশি পুঁথির নকল করে এবং নকলের নকল করে স্তূপীকৃত করে তোলে।  শিক্ষার এই আড়ম্বরপূর্ন আয়োজন দেখে মুগ্দ্ধ রাজা বলদ বোঝাই করে বিপুল পরিমাণ পারিতোষিক দেন লিপিকরদের।  তাই লিপিকরদের সংসারে আর টানাটানি রইল না।  

(৪) " উন্নতি হইতেছে। " 

(ক) কিসের উন্নতির কথা বলা হয়েছে ? 

(খ) করা এই উন্নতির হবার কথা বলেছে ? 

(গ) পাখিটির কী উন্নতি হয়েছিল ? 

উত্তরঃ 

(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা " তোতাকাহিনি " পাঠ্যাংশে মুক্ত তোতাকে রাজার  আদেশে , রাজপন্ডিতদের পরামর্শে ও রাজার ভাগিনেয়দের  তৎপরতায়  খাঁচায় বন্দি করে শিক্ষিত করে তোলার জন্য যে বিপুল আয়োজন করা হয়েছে , সেই আয়োজনকে লক্ষ করেই তোতার শিক্ষার বা শিক্ষা - ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলা হয়েছে।  

(খ) যে সমস্ত মানুষ বাইরের আড়ম্বর দেখে মুগ্দ্ধ হয় , তারাই তোতার শিক্ষার আয়োজন দেখে মুগ্দ্ধ বিস্ময়ে এই কথা বলেছে।  

(গ) ছোট্ট তোতাটি বনে বনে উড়ে বেড়াতো , মুক্তির আনন্দে লাফাতো , গান করতো , বনের ফল খেয়ে ক্ষুধানিবৃত্তি করতো।  কিন্তু রাজার আদেশে তাকে শিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।  রাজার ভাগিনীদের ওপর পাখিকে শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব অর্পিত হয়। রাজপন্ডিতেরা বহু বিচার করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে পাখিটির সাধারণ ক্ষুদ্র বাসাটি  জ্ঞানসমৃদ্ধ শিক্ষার পক্ষে উপযুক্ত নয়।  তাই পাখির শিক্ষার আয়োজন করতে হলে প্রথমেই একটা ভালো খাঁচা বানানো দরকার।  পন্ডিতদের পরামর্শক্রমে  স্যাকরা এসে পাখির শিক্ষার জন্য সোনার খাঁচা বানাতে বসল।  

      এরপর  পন্ডিতেরা পাখিকে শিক্ষাদানের জন্য উপযুক্ত পুঁথি রচনায় মনোযোগী হলেন।  যথার্থ শিক্ষাদান যেহেতু ' অল্প  পুঁথির কর্ম নয় ' , সেহেতু তাঁরা লিপিকরদের নিয়ে রাশি রাশি  পুঁথির নকল করতে শুরু করলেন।  সকলে এই আয়োজন দেখে বাহবা দিল।  

            রাজার  ভাগিনেয়রা অত্যন্ত ব্যস্ততা ও তৎপরতার সঙ্গে খাঁচার দেখাশুনা , ঝাড়ামোছা , পালিশ করা , মেরামতির ঘটা লেগেই রইল।  প্রচুর লোকের ওপর এই বৃহৎ কর্মকান্ডের দায়িত্ব অর্পিত হল।  আবার তাদের ওপর নজরদারির জন্যও আরো লোক নিযুক্ত হল।  প্রতিমাসে এত কর্মীর বেতন বাবদও অপরিমিত ব্যয় হতে লাগল।  

পাখির শিক্ষার জন্য এত বিপুল আয়োজন , এত কর্মী , নজরদারি ,ও অপরিমিত অর্থব্যয়ের ঘটা দেখেই সাধারণ মানুষের মনে হয়েছে যে পাখির শিক্ষার যথেষ্ঠ উন্নতি হচ্ছে।  

(৫) পাখির খাঁচা তৈরির উপদেশ কারা দিয়েছিল ? 

উত্তরঃ  পন্ডিতেরা পাখির খাঁচা তৈরির উপদেশ দিয়েছিল।  

(৬) তনখা  কাকে বলে ? 

উত্তরঃ  তনখা হল কোন কাজের পরিবর্তে পাওয়া পারিশ্রমিক। 

(৭) কারা খেতে পায়  না বলে মন্দ কথা বলে ? 

উত্তরঃ নিন্দুকেরা খেতে পায়  না বলে মন্দ কথা বলে।  

(৮) পারিতোষিক পেয়ে বলদ বোঝাই কারা করেছিল ? 

উত্তরঃ লিপিকরের দল পারিতোষিক পেয়ে বলদ বোঝাই করেছিল।  

(৯) মৃদঙ্গ কী ? 

উত্তরঃ মৃদঙ্গ একটি বাদ্যযন্ত্র বিশেষ। 

(১০) " লোকসান ঘটায় " ........কে কীভাবে লোকসান ঘটায় ? 

উত্তরঃ 'তোতা কাহিনি' গল্পের তোতা পাখিটি বনের ফল খেয়ে রাজহাটে ফলের বাজারে লোকসান ঘটায়।  


















































Tuesday, 6 April 2021

কাজের লোক










 কাজের লোক 

নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য 


' মৌমাছি মৌমাছি 

কোথা যাও নাচি নাচি , 

দাঁড়াও না একবার ভাই !'


'ওই ফুল ফোটে বনে ,

যাই মধু আহরণে 

দাঁড়াবার সময় তো নাই। '


'ছোটো  পাখি , ছোটো পাখি 

কিচিমিচি ডাকি 

কোথা যাও বলে যাও শুনি। '


' এখন না কব কথা 

আনিয়াছি তৃণলতা ,

আপনার বাসা আগে শুনি। ' 


'পিপীলিকা , পিপীলিকা ,

দল-বল ছাড়ি একা 

কোথা যাও , শুনি যাও বলি। '


'শীতের সঞ্চয় চাই ,

খাদ্য খুঁজিতেছি তাই 

ছয় পায় পিলপিল চলি। ' 


প্রশ্ন : 

(১) " দাঁড়াবার সময় তো নাই " 

(ক) কোন কবিতার অংশ ? 

(খ) কার লেখা ?

(গ) কার কেন দাঁড়াবার সময় নেই ? 

উত্তর : 

(ক) " কাজের লোক" কবিতার অংশ।  

(খ) নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের লেখা।  

(গ) মৌমাছি বনের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে যাবে।  তাই তার দাঁড়াবার সময় নেই।  


প্রশ্ন 

(২) " আপনার বাসা আগে বুনি " 

(ক) কোন কবিতার অংশ ? কার লেখা ? 

(খ) 'আপনার ' কথাটির অর্থ কী ? 

(গ) কে তার বাসা কী দিয়ে বোনে ? 

উত্তরঃ 

(ক) নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের লেখা " কাজের লোক "  কবিতার অংশ।  

(খ) ' আপনার' কথাটির অর্থ নিজের।  

(গ) ছোটো পাখি ঘাস ও লতা দিয়ে নিজের বাসা বোনে।  


প্রশ্ন 

(৩) " খাদ্য খুঁজিতেছি তাই " 

(ক) কার লেখা ও কোন কবিতার অংশ ? 

(খ) কে খাদ্য খুঁজছে ও কেন ? 

উত্তরঃ 

(ক) নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের লেখা " কাজের লোক "  কবিতার অংশ। 

(খ) পিপীলিকা শীতের সঞ্চয়ের জন্য খাদ্য খুঁজছে।  


প্রশ্নঃ 

(৪) ছোটো পাখি কেমন করে ডাকে ? 

উত্তরঃ  ছোটো পাখি কিচিমিচি করে ডাকে।  


প্রশ্নঃ 

(৫)  পিপীলিকা কয় পায়ে চলে ? 

উত্তরঃ পিপীলিকা ছয় পায়ে  পিলপিল চলে। 

প্রশ্নঃ 

(৬)  মৌমাছি কোথা থেকে মধু সংগ্রহ করে ? 

উত্তরঃ  মৌমাছি বনের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে।  

প্রশ্নঃ 

(৭) ' দাঁড়াও  না একবার ভাই। '

(ক) কাকে 'ভাই' বলা হচ্ছে ? 

(খ) সে কোথায় যাচ্ছে ? 

(গ) 'ভাই' কি অনুরোধ করল ? 

উত্তরঃ 

(ক) মৌমাছিকে ' ভাই ' বলা হচ্ছে। 

(খ) সে বনের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে যাচ্ছে।  

(গ) 'ভাই' মৌমাছিকে একবার দাঁড়াতে অনুরোধ করল।  

প্রশ্নঃ 

(৮) 'আনিয়াছি তৃণলতা ' 

--- তৃণলতা কে এনেছে ? 

উত্তরঃ ছোটো পাখি তৃণলতা এনেছে।  

প্রশ্নঃ 

(৯) কোনটা কোথায় বসবে বেছে নিয়ে জায়গামতো বসাও : 

তৃণলতা                     মধু আহরণে                ফুলের বনে                             

শীতের সঞ্চয়           খাদ্য খুঁজতে                 বাসা বুনতে 

(ক) মৌমাছি যাচ্ছে ? _______________

        কেন যাচ্ছে ? __________________

(খ ) পাখি এনেছে ? _______________

      কেন এনেছে ? ____________________

(গ) পিপীলিকা  যাচ্ছে ? ___________ 

          খাদ্য কী হবে ? _______________

 


প্রশ্নঃ 

(১০) ' কাজের লোক ' কবিতায় কাদের কাজের লোক বলা হয়েছে  ও কেন ? 

উত্তরঃ 

'কাজের লোক ' কবিতায় মৌমাছি, ছোটো পাখি ও পিপীলিকাকে  কাজের লোক বলা হয়েছে।  

           মৌমাছি , পাখি, পিঁপড়ে সবাই নিজের কাজ সময়মতো করে  নেয়।  কেউ কাজ ফেলে রাখে না।  আর কাজের সময় তারা কথা বলে সময়ও নষ্ট করে না। তাই এদের কাজের লোক বলা হয়েছে।  























Thursday, 28 January 2021

বঙ্গভূমির প্রতি

 বঙ্গভূমির প্রতি 

মাইকেল মধুসূদন দত্ত 

রেখো,  মা , দাসেরে মনে , এ মিনতি করি পদে। 

           সাধিতে মনের সাধ 

           ঘটে যদি পরমাদ ,

মধুহীন করো না গো             তব  মনঃকোকনদে। 

প্রবাসে , দৈবের বশে , 

জীব-তারা যদি খসে 

এ দেহ-আকাশ হতে ,       নাহি খেদ তাহে।  

জন্মিলে মরিতে হবে ,

অমর  কে কোথা  কবে , 

চিরস্থির কবে নীর ,                     হায় রে জীবন-নদে ? 

কিন্তু যদি রাখ মনে ,

নাহি , মা, ডরি শমনে ;

মক্ষিকাও  গলে না গো                      পড়িলে অমৃত-হ্রদে।  

সেই ধন্য নরকুলে , 

লোকে যারে নাহি ভুলে , 

মনের মন্দিরে সদা                                       সেবে সর্বজন। 

কিন্তু কোন গুণ আছে ,

যাচিব যে তব কাছে , 

  হেন অমরতা আমি ,                       কহ , গো, শ্যামা জন্মদে ! 

তবে যদি দয়া কর ,

ভুল দোষ , গুণ ধর ,

অমর করিয়া বর      দেহ  দাসে , সুবরদে  ! 

ফুটি যেন স্মৃতি-জলে ,

মানসে , মা, যথা ফলে 

মধুময় তামরস ,                  কি বসন্ত কি শরদে ! 


 সার -সংক্ষেপ : 

কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত 'বঙ্গভূমির প্রতি ' কবিতায় বঙ্গজননীর প্রতি তাঁর বিনীত মিনতি জ্ঞাপন করেছিলেন।  তিনি বলেছেন যে বঙ্গজননী যেন কবিকে চিরকাল মানুষের স্মৃতিতে অমলিন রাখেন।  উচ্চভিলাষী কবি বিদেশ যাওয়ার আগে মাতৃভূমির কাছে এই প্রার্থনা জানিয়েছেন যে তিনি যেন কবিকে সর্বদা মনে রাখেন।  মানুষের দেহ নশ্বর , কিন্তু স্মৃতি অবিনশ্বর।  নশ্বর এই দেহের বিনাশ ঘটলেও নিজের কীর্তির মধ্যে দিয়ে মানুষ অন্য মানুষের মনে অমরত্ব পেতে পারে।  

         কবি নিজেই বললেন যে , জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যু অনিবার্য।  নদীতে জল যেমন স্থির নয় , চির প্রবাহমান , তেমন মানুষের জীবনও স্থির নয়।  মানব জীবনের ধর্ম চিরপ্রবাহমানতা।  কিন্তু কবির বিশ্বাস তিনি কর্মের মধ্যে দিয়ে মানুষের মনে স্থান করে নিতে পারবেন।  তাই তিনি মৃত্যুকে ভয় পান না।  তিনি মানুষের মনের মন্দিরে চির ভাস্বর থাকতে চান।  ক্ষুদ্রতম মক্ষিকাও যেমন অমৃত হ্রদে পড়লে মরে না , অমৃতের স্পর্শে সে যেন অমরত্ব লাভ করে, তেমনি বঙ্গ জননীর স্নেহ লাভ করতে পারলেই কবিও ধন্য হবেন।  

       কবি বঙ্গমাতার স্নেহের উপর একান্ত নির্ভর করে বলেছেন যে , তাঁর এমন কোন গুণ নেই যে , তিনি বঙ্গভূমির কাছে অমরত্ব প্রার্থনা করতে পারেন , তবে বঙ্গজননী যদি কৃপা করে তাঁর দোষ ত্রূটিকেই গুণ বলে ধরেন  এবং তাঁকে অমরত্বের বর দান করেন , তবে এই সুবরদায়িনী বঙ্গমাতার কাছে তিনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন।  

        কবিতার শেষ স্তবকে কবি এই অমরত্বের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।  গৌড়জনের জন্য তিনি এমন কাব্য রচনা করে যেতে চান যা চিরকালের আনন্দ সুধা বর্ষণ করবে।  বঙ্গবাসীর হৃদয়মন্দিরে বিরাজ করে তিনি তাঁদের স্মৃতিতে চির অক্ষয় হয়ে বিরাজ করতে চান, যেমন তিব্বতের মানস সরোবরে সব ঋতুতে পদ্মফুল ফুটে থাকে।  এইভাবে কবি বঙ্গবাসীর স্মৃতিতে উজ্জ্বল থেকে অমর হয়ে থাকতে চান।       


শব্দার্থ :

দাসেরে - সেবক কে 

মিনতি -- প্রার্থনা 

সাধিতে - সম্পাদন করতে 

সাধ- ইচ্ছা 

পরমাদ - ভুল 

প্রবাসে - বিদেশে 

কোকোনদ - লালপদ্ম 

দৈবের বশে - নিয়তি বা দৈবশক্তির প্রভাবে 

দেহ - আকাশ -- দেহরূপ আকাশ 

খেদ - দুঃখ , অনুশোচনা 

নরকুলে- মানব সমাজে 

নিত্য - সর্বদা 

সেবে- সেবা করে 

মাগিব - প্রার্থনা করিব 

হেন- এইরূপ 

শ্যামা - শ্যামলা বঙ্গভূমি 

জন্মদে - জন্ম দেন যিনি 

মানসে -- মানস সরোবরে 

তামরস - পদ্মফুল 


  



প্রশ্ন ও উত্তর 

(১)                                          " প্রবাসে , দৈবের বশে , 

জীব-তারা যদি খসে 

এ দেহ-আকাশ হতে ,       নাহি খেদ তাহে। "

(ক) ' প্রবাসে ' বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

(খ)  কবি উল্লিখিত উক্তিটির মধ্যে দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন ? 

(গ) কবির খেদ নেই কেন ? 

(ঘ) তিনি কী কামনা করেছেন ? 

উত্তর : 

(ক) ' প্রবাসে ' শব্দটির অর্থ বিদেশে।  কবি মধুসূদন দত্ত ১৮৬২ সালের ৯ই জুন ইউরোপ যাত্রা করেন।  তাঁর অন্যতম বন্ধু গৌরদাস বসাককে 'ইউরোপ যাত্রার পূর্বে একটি পত্র লেখেন ৪ ই জুন।  সেই পত্রের সঙ্গেই 'বঙ্গভূমির প্রতি ' কবিতাটি তিনি পাঠিয়েছিলেন বন্ধু গৌরদাস বসাককে।

(খ) কবি বলেছেন বিদেশে গিয়ে নিয়তির কবলে পড়ে কোনো দৈবদুর্বিপাকে পড়তে পারেন।  এবং তার ফলে আকাশ থেকে যেমন তারা খসে পড়ে সেইরূপ দেহ থেকে জীবন খসে পড়ে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।  কবি এখানে জীবনকে তারার সঙ্গে ও দেহকে আকাশের সঙ্গে তুলনা করেছেন।  

(গ) কবি বলেছেন বঙ্গজননী যদি তাঁর মনের মনিকোঠায় কবিকে স্থান দেন তবে প্রবাসে গিয়ে যদি তাঁর মৃত্যুও হয়ে যায় , তবু তিনি কোনো খেদ বা অনুশোচনা করবেন না।  

(ঘ) তিনি বঙ্গজননীর কাছে কামনা করেছেন , মা যেন তাঁকে মনে রাখেন।  মনের সাধ পূর্ন করতে গিয়ে যদি কোনো প্রমাদ বা ভুল হয়ে যায় তাঁর তবুও মনরূপ পদ্ম থেকে মধুসূদনকে ভিন্ন না করেন।  


(২)                                               "জন্মিলে মরিতে হবে ,

অমর  কে কোথা  কবে ,"

(ক) ' অমরত্ব ' বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

(খ) কবি এই চিরন্তন কথাটি দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন ? 

(গ) এই প্রসঙ্গে কবি কী তুলনা দিয়েছেন ? 

(ঘ) তিনি কী ধরনের অমরত্ব লাভ করতে চেয়েছেন ? 

উত্তরঃ

(ক) ' অমরত্ব' বলতে মৃত্যুহীনভাবে চিরকাল বেঁচে থাকাকে বোঝানো হয়েছে।  

(খ) কবি বোঝাতে চেয়েছেন মানুষ জন্মলাভ করলে তার মৃত্যু অনিবার্য।  জগতের কেউ কোথাও কখনও অমরত্ব লাভ করতে পারেনি।  

(গ) এই প্রসঙ্গে কবি বলেছেন , নদীর মধ্যে দিয়ে জলধারা যেমন বহমান , নদীর স্রোতধারা যেমন থেমে থাকে না , তেমনি জীবনও চিরপ্রবহমান।  জীবনের গতি কখনও শ্লথ হয় না।  নদীর জলধারা যেমন শেষপর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে সাগরে মেসে , জীবনও তেমনি নিঃশেষ হয়ে মৃত্যুর মধ্যে সমাহিত হয়।  এই চিরন্তন সত্যটিকে কবি এইভাবে উপমিত করেছেন।  

(ঘ) কবি জৈবিক অমরত্ব লাভ করতে চান না।  তিনি বঙ্গজননীর কাছে প্রার্থনা করেছেন যাতে তিনি সকল মানুষের মনে নিজ কীর্তির দ্বারা চির অম্লান হয়ে থাকতে পারেন।  মানুষের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে চিরকাল বেঁচে থাকার মধ্যে দিয়ে তিনি অমরত্ব পেতে চান।  

(৩)                                     "কিন্তু কোন গুণ আছে ,

যাচিব যে তব কাছে , 

  হেন অমরতা আমি ,                       কহ , গো, শ্যামা জন্মদে ! "

(ক) ' শ্যামা জন্মদে ' বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে ? 

(খ) 'হেন অমরতা ' বলতে কোন শ্রেণির অমরতাকে বোঝানো হয়েছে ? 

(গ) কবি কী প্রার্থনা করেছেন ? 

(ঘ) কবি পরমুহূর্তেই নিজের জন্য কীভাবে প্রার্থনা পূরণের উপায়ের সন্ধান দিয়েছেন ? 

উত্তরঃ 

(ক)  'শ্যামা জন্মদে ' বলতে শস্যশালিনী জন্মদাত্রী বঙ্গমাতাকে বোঝানো হয়েছে।  

(খ) 'হেন অমরতা ' বলতে মানুষের সেই অমরতাকে বোঝানো হয়েছে যা তাকে মনুষ্যকুলে ধন্য করে।  মানুষ যেন কখনও তাঁকে বিস্মৃত না হয়।  মানুষের 'মনের মন্দিরে ' তিনি যেন দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত থেকে নিত্যদিন 'সেবা' পান।  এই অমরতা চির অক্ষয় আয়ু নয় , এই অমরতা চিরঅম্লান কীর্তির দ্বারা অর্জিত হয়।  

( গ) কবি প্রার্থনা করেছেন বঙ্গমাতা যেন তাঁর মন থেকে কবিকে সরিয়ে না দেন।  তাঁর কৃপা পেলে কবি সকলের মনে চির অক্ষয় হয়ে বিরাজ করবেন।  তাঁর হয়তো কোনো গুণই নেই তবু এই অমরতা তিনি প্রার্থনা করেন, যার দ্বারা কাব্যরসিকদের কাছে সাহিত্যিক হিসাবে তিনি অমর হয়ে থাকতে পারেন।  

(ঘ) কবি বলেন , তাঁর এমন কোন গুণ নেই যে বঙ্গমাতার কাছে এমন অমরতা তিনি প্রার্থনা করতে পারেন।  কিন্তু পরমুহূর্তেই বঙ্গমাতার অপার কৃপা লাভের প্রত্যাশী কবি বলেন , মা যদি তাঁর ভুল ত্রূটি মার্জনা করে শুধু গুণটুকু ধরেন , তবেই এই অমরত্ব আশীর্বাদের দ্বারা সুবরদায়িনী বঙ্গ জননী কবিকে ভরিয়ে তুলতে পারেন।  তার কাব্যপ্রতিভাকে গুণ রূপে বিবেচনা করে কবির প্রার্থনা মঞ্জুর   করা যায় ----- এই উপায়ের সন্ধান কবি দিয়েছেন।  

(৪) " ফুটি যেন স্মৃতি জলে ,

মানসে  মা যথা ফলে 

মধুময় তামরস কি বসন্তে , কি শরদে !" 

(ক) কার স্মৃতিতে ফুটে থাকতে চান কবি ? 

(খ) এই ইচ্ছা তিনি কার কাছে কামনা করেছেন ? 

(গ) "তামরস " বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

(ঘ) উক্ত অংশের অন্তর্নিহিত অর্থ ব্যাখ্যা কর।  

উত্তরঃ 

(ক) কবি মধুসূদন তাঁর মহান সাহিত্যকীর্তি দ্বারা মনুষ্যসমাজের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে থাকতে চান চিরকালের জন্য।  তাঁর এ কামনা সর্বদেশের সর্বকালের কবি - সাহিত্যিকদেরই কামনা।  প্রত্যেক সাহিত্যিকের কামনা , মানুষের স্মৃতিতে সশ্রদ্ধ জাগরিত অস্তিত্ব।  যাতে তাঁদের  মৃত্যুর পরও আমরা মনে রাখি , তাঁদের কীর্তির জন্য তাঁদের স্মরণ করি --- এই টিই কবির একান্ত ইচ্ছা ; অসংখ্য ভক্তজনের হৃদয়পদ্ম হয়ে ফুটে থাকায় তাঁর একমাত্র অভিপ্রায়।  

(খ)  এই ইচ্ছা তিনি ব্যক্ত করেছেন সুবরদায়িনী বঙ্গজননীর কাছে।  কারণ , তাঁর কৃপা না পেলে কবির এই ইচ্ছা কখনও পূরণ হবে না।  

(গ) " তামরস "  বলতে পদ্মফুলকে বোঝানো হয়েছে।  

(ঘ) কবি মধুসূদনের একান্ত কামনা ছিল , তাঁর নশ্বর দেহটার বিনাশ হলেও তাঁর নাম অমলিন হয়ে থাকুক মানুষের মনের মণিকোঠায়।  তিব্বতের মানস সরোবরে যে পদ্মফুল সারা বছর ফুটে থেকে তার সৌন্দর্য বিতরণ করে , কবিও তেমনি সারাজীবন মানুষের স্মৃতিতে চির অক্ষয় হয়ে বিরাজ করতে চান।  অমর হয়ে মানুষের মনে থাকতে চান কবি তাঁর কীর্তি ও যশের দ্বারা।   




             

Monday, 25 January 2021

জোনাকি

 জোনাকি 

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত 

ওই        একটি দুটি পাতার পরে 

একটু মৃদু আলো ,

ও যে      দেখতে ভারী নুতন, ওরে - 

কেমন লাগে ভালো। 

আয় জোনাকি বুকটি ভরে 

একটু নিয়ে আলো ,

আজ     আঁধার রাতি বাদল সাথী 

                     চাঁদের ভাতি কালো।  

যেটুকু তোর দেবার আছে দিয়ে দে তুই আজ , 

ও সে তারার মতো নাই - বা হল 

               তাতাই বা কি লাজ ? 

ছোটো -- সে তো ভালোই আরো 

              ছোটো বলেই মান ;

ও যে            দুঃখীজনের ভিক্ষা মুঠি 

                      দানের সেরা দান ! 

                  থাক না তারা তপন শশী 

                         থাক- না  যত আলো ,---

তাদের মোর করব পূজা , 

                          বাসব তোরেই ভালো।  




প্রশ্ন ও উত্তর 

(১) " একটি দুটি পাতার পরে " 

(ক) পংক্তিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? কার লেখা ? 

(খ) একটি দুটি পাতার পর কী দেখা যায় ? 

(গ) সেগুলি দেখতে কেমন লাগে ? 

উত্তরঃ 

(ক) পংক্তিটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত 'জোনাকি' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।  

(খ) একটি দুটি পাতার পরে জোনাকির মৃদু আলো দেখা যায়।  

(গ) মৃদু এল সৃষ্টিকারী জোনাকির মধ্যে কবি নতুনত্ব দেখতে পান।  অল্প এল জ্বালানো জোনাকি দেখতে তাই খুব নতুন লাগে।  

(২) " চাঁদের ভাতি কালো " 

(ক) ' ভাতি ' কথাটির অর্থ কী ? 

(খ) চাঁদের ভাতি কালো কথাটির অর্থ কী ? 

(গ) কবি আজ জোনাকিকে কী করতে বলেছেন ? 

উত্তর : 

(ক) 'ভাতি ' কথাটির অর্থ দীপ্তি।  

(খ) আজ বৃষ্টি বাদল ভরা অন্ধকার রাত।  তাই চাঁদের দীপ্তি , চাঁদের আলো নেই, তা কালো অন্ধকারে ঢেকে গেছে।  তাই চাঁদের ভাতি কালো।  

(গ) বৃষ্টি ঝরা আঁধার রাতে চাঁদের এল কালো অন্ধকারে ঢেকে গেছে।  তাই কবি জোনাকিকে তার অল্প আলোটুকুই বুক ভরে নিয়ে আস্তে বলেছেন এবং তা উজাড় করে দিতে বলেছেন।  

(৩) "দানের সেরা দান। ........"

(ক) দানের সেরা দান কী ? 

(খ) কেন তা সেরা ? 

(গ) এখানে 'দুঃখীজন '  ও 'ভিক্ষামুঠি ' র সঙ্গে কীসের তুলনা করা হয়েছে ? 

উত্তরঃ 

(ক) দুঃখীজনের ভিক্ষামুঠিকে সেরা দান বলা হয়েছে।  

(খ) যার অনেক আছে , সে যখন কাউকে কিছু দান করে , সেটি তার সর্বস্ব দান নয় , অংশমাত্র দান।  কিন্তু এক দীন  দুঃখী যার কিছুই নেই , সে যখন কাউকে এক মুঠো ভিক্ষা দেন করে , সেই দান হয়ে ওঠে অমূল্য , তাই তা সেরা দান।  

(গ) এখানে ' দুঃখীজন ' বলতে ছোট্ট জোনাকিকে এবং 'ভিক্ষামুঠি ' বলতে জোনাকির অল্প আলোকে বোঝানো হয়েছে।  

(৪) " তাতেই বা কি লাজ " 

(ক) পংক্তিটি কথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? 

(খ) 'লাজ ' কথাটির অর্থ কী ? 

(গ) কী সে লাজ নেই ? 

উত্তরঃ 

(ক) পংক্তিটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত 'জোনাকি ' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।  

(খ) 'লাজ ' কথাটির অর্থ লজ্জা। 

(গ) আকাশের তারাদের অনেক আলো , অথচ জোনাকির বুকে আলো অনেক কম।  কবি বলেছেন , বৃষ্টি জরা রাতে জোনাকি যেন তার অল্প আলোটুকু উজার করে দেয়।  তারার মত আলো নেই বলে লজ্জা পাবার কিছু নেই। 

আরো প্রশ্ন : 

(৫)  " ও যে দেখতে ভারি , ওরে -

                    কেমন লাগে ভালো " 

(ক) কার লেখা ? কোন কবিতার অংশ ? 

(খ) এখানে কীসের কথা বলা হয়েছে ? 

(গ) সেটি কোথায় যাচ্ছিল ? 

(৬) যেটুকু তোর দেবার আছে 

দিয়ে দে তুই আজ " 

(ক) কাকে কী দেবার আছে ? 

(খ) তাকে  'যেটুকু " বলা হয়েছে কেন ? 

(গ) 'আজ ' কেন তাকে দেবার কথা বলা হয়েছে ? 

(৭) " ওযে  দুঃখীজনের ভিক্ষামুঠি ----

               দানের সেরা দান " 

(ক) অংশটিতে ' দুঃখীজন ' বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? 

(খ) তাদের দানকে সেরা দান বলার কারণ কী ? 

অন্যান্য মৌখিক প্রশ্ন : 

(১) 'জোনাকি' কবিতার কবি কে? 

(২) 'ভাতি' শব্দের অর্থ কী?

(৩) ' দুঃখীজন '  কাকে বলা হয়েছে?

(৪) কবিতায় কাদের পুজো করার কথা বলা হয়েছে ?

(৫)  কবি কাকে ভালোবাসবেন? 

(৬) জোনাকির কোথায় আলো থাকে ? 

(৭) " সাথী" শব্দের অর্থ কী? 

(৮)  কবিতায় কার সঙ্গে ' ভিক্ষামুঠির' তুলনা করা হয়েছে? 

(৯) জোনাকির আলো কেমন ? 

(১০) 'তারা, তপন, শশী" ---- কাকে কখন দেখা যায় ?

Friday, 25 December 2020

কুঠার ও জলদেবতা

 

কুঠার ও জলদেবতা

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

উৎস : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত " কুঠার ও জলদেবতা " গল্পটি তাঁর রচিত " কথামালা " গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। " 

গল্পের মূলভাব : কখনও কারও প্রতি হিংসা বা লোভ করতে নেই।  সব সময় সৎভাবে চলতে পারলে তার ফল অবশ্যই পাওয়া যায়।  আলোচ্য গল্পে প্রথম দুঃখী কাঠুরিয়া সৎ ছিল বলে জলদেবতা তাকে তার নিজের কুড়ুল এবং অন্য দুটো সোনার ও রূপোর কুড়ুল দান করেন।  কিন্তু দ্বিতীয় কাঠুরিয়া ছিল লোভী ও মিথ্যাবাদী।  এজন্য জলদেবতা তাকে কিছুই দেননি বরং তিরস্কার করে বিদায় দিয়েছেন।  ফলে সে তার নিজের কুড়ুলখানাও হারিয়েছে।   

 প্রশ্ন ও উত্তর ঃ

(১) প্রথম ব্যক্তিকে জলদেবতা প্রথমে কীরকম কুঠার দেখিয়েছিলেন ?

উত্তর ঃ  প্রথম ব্যক্তিকে জলদেবতা প্রথমে স্বর্ণময় কুঠার দেখিয়েছিলেন

(২) দ্বিতীয়বার জলদেবতা দুঃখী ব্যক্তিকে কী রূপ কুঠার দেখিয়েছিলেন ?

উত্তর ঃ  দ্বিতীয়বার জলদেবতা দুঃখী ব্যক্তিকে রজতময় কুঠার দেখিয়েছিলেন

(৩) দুঃখী লোকটিকে জলদেবতা কী কী দিয়েছিলেন ?

উত্তর ঃ দুঃখী লোকটিকে জলদেবতা স্বর্ণময় ও রজতময় কুঠারদুটির সাথে দুঃখী লোকটির নিজের লোহার কুঠারটিও দিয়েছিলেন

(৪) দুঃখী লোকটির স্বভাবের কী পরিচয় পাওয়া যায় ?

উত্তর ঃ দুঃখী লোকটি ছিল নির্লোভ , সত্যনিষ্ঠ ও ধর্মপরায়ণ . 

 

(৫) দ্বিতীয় ব্যক্তিকে জলদেবতা কীরূপ কুঠার দেখিয়েছিলেন ?

উত্তর ঃ দ্বিতীয় ব্যক্তিকে জলদেবতা প্রথমে সোনার কুঠার দেখিয়েছিলেন ।

(৬ ) কুঠার দেখে দ্বিতীয় ব্যক্তি জলদেবতাকে কী বলেছিল ?

উত্তর ঃ সোনার কুঠার দেখে দ্বিতীয় ব্যক্তি অত্যন্ত ব্যগ্র হয়ে জলদেবতাকে বলেছিল যে সেটা তার কুঠার ।

(৭) দ্বিতীয় ব্যক্তির  কথায় তার কোন স্বভাবের পরিচয় পাওয়া যায় ?

উত্তর ঃ দ্বিতীয় ব্যক্তির কথায় বোঝা  যায় যে সেই ব্যক্তি অত্যন্ত লোভী ও মিথ্যাবাদী ।

(৮) " তুমি কি জন্য এত রোদন করিতেছ?  " 

(ক) উল্লিখিত অংশটি কে কাকে বলেছে ? 

(খ) 'রোদন ' কথাটির অর্থ কী ? 

(গ) কে কেন রোদন করছিল ? 

উত্তর: 

(ক) উল্লিখিত অংশটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত " কুঠার ও জলদেবতা " গল্পে জলদেবতা দুঃখী ব্যক্তিটিকে বলেছে।  

(খ) 'রোদন' কথাটির অর্থ কান্না।  

(গ) দুঃখী ব্যক্তিটি গাছ কাটতে গিয়ে হাত ফসকে তার একমাত্র কুঠারটি নদীর জলে হারিয়ে ফেলে।  তাই সে নিজের দুর্ভাগ্যের জন্য কাঁদছিল।  

(৯) " আপনি  আমায় জন্মের মতো কিনিয়া রাখিলেন

(ক) বক্তা কে ? 

(খ) বক্তা উল্লিখিত উক্তিটি কেন করেছে ? 

উত্তর : 

(ক) বক্তা এখানে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত " কুঠার ও জলদেবতা " গল্পে দুঃখী ব্যক্তিটি।  

(খ) গাছ কাটতে গিয়ে হাত ফসকে দুঃখী ব্যক্তিটি তার একমাত্র কুঠারটি নদীর জলে হারিয়ে ফেলে।  কুঠারটি আর কোনদিন ফায়ার পাবে না ভেবে সে কাঁদতে থাকে।  তার কান্না দেখে সে নদীর জলদেবতার দয়া হয় এবং তিনি দুঃখীর সেই কুঠারটি যখন নদীর তলা থেকে তুলে এনে দেখায় তখন নিজের কুঠারটি ফিরে  পাবার আশায়  দুঃখী ব্যক্তিটি প্রশ্নে উল্লিখিত উক্তিটি বলে।  

(১০) " তুই এ কুঠার পাবার যোগ্য পাত্র নহিস।

(ক) কে কাকে উল্লিখিত উক্তিটি বলেন ? 

(খ) কেন বলেন ? 

উত্তর : 

(ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত " কুঠার ও জলদেবতা " গল্পে নদীর জলদেবতা দুঃখী ব্যক্তিটির এক লোভী প্রতিবেশীকে বলেছিলেন।  

(খ) দুঃখী ব্যক্তিটির কাছ থেকে তার প্রতিবেশীরা জানতে পারে যে নদীর দয়ালু জলদেবতা তাকে দয়া করে তার একমাত্র লোহার কুঠারের সাথে তাকে  একটি সোনার ও একটি রুপোর কুঠার ও দিয়েছে।  প্রতিবেশীদের মধ্যে এক লোভী ব্যক্তি নদীর ধারে গিয়ে তার লোহার কুঠারটি হাত ফসকে পড়ে গেছে এই রকম ভান করে কাঁদতে থাকে।  জলদেবতা যখন তাকে পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে সোনার তৈরি এক কুঠার দেখায় তখন সেই ব্যক্তি লোভ সামলাতে না পেরে বলে সেই সোনার কুঠারটিই  তার।  তখন জলদেবতা খুব রেগে যান এবং ওই লোভী ব্যক্তিকে তিরস্কার করে প্রশ্নে উল্লিখিত উক্তিটি করেন। 

 




 

 

 

Sunday, 6 December 2020

অরণ্যের রূপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়,

 অরণ্যের রূপ 

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় 

সাহিত্য মুকুল বইয়ে "অরণ্যের রূপ "  অংশটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত "আরণ্যক " উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।  

                  ১৯৩৭ থেকে ১৯৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দ 'আরণ্যক ' -এর রচনাকাল।  ভাগলপুরের আজমাবাদ , লবটুলিয়া , ইসমাইলপুর , রিজার্ভ ফরেস্ট এর প্রান্তসীমা -এই অঞ্চলে পরিব্যপ্ত অরণ্যই "আরণ্যক"। 

           " আরণ্যক " এর কাহিনী সরল ও জটিলতাবর্জিত।  নায়ক সত্যচরণ ভাগলপুরের কোনো জমিদারী এস্টেটে চাকরি পেয়ে ম্যানেজার হিসেবে সেখানে গিয়েছে।  প্রাথমিক ভাবে তার নাগরিক মন এই নির্জন অরণ্যবাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেও একটু একটু করে প্রকৃতি তার সম্মোহনকারী প্রভাব বিস্তার করেছে সত্যচরণের ওপরে। ক্রমে তার আর অরণ্যের থেকে সামান্য বিচ্ছেদও সহ্য হয় না।  

প্রশ্ন : 

(১) "একদিনের কথা জীবনে কখনও ভুলিব না " 

(ক) সেদিন কী উৎসব ছিল ? 

(খ) সেদিন কাছারির সিপাহীরা কী করেছিল ? 

(গ) সেদিন গল্পকথক অনেক রাত পর্যন্ত কী করছিল ? 

উত্তরঃ 

(ক) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত " অরণ্যের রূপ " রচনাংশ থেকে জানা যায় সেদিন দোল পূর্ণিমার উৎসব ছিল।  

(খ) সেদিন কাছারির সিপাহিরা ছুটি নিয়ে সারাদিন ঢোল বাজিয়ে হোলি খেলছিল।  সন্ধ্যার সময়ও তাদের নাচগানের বিরাম ছিল না।  

(গ) সেদিন গল্পকথক অনেক রাত পর্যন্ত নিজের ঘরে টেবিলে আলো জ্বালিয়ে হেড অফিসের জন্য চিঠিপত্র লিখছিলেন। 

(২) " মনে হইল এক অজানা পরীরাজ্যে আসিয়া পড়িয়াছি " 

(ক) লাইনটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? কার লেখা ? 

(খ) কোন স্থানকে পরীরাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ? 

(গ) ঐ জায়গায় ফাগুনের মাঝামাঝি কোন ফুল ফোটে ? 

উত্তরঃ 

(ক) প্রশ্নে উল্লিখিত অংশটি ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়  রচিত " আরণ্যক " উপন্যাসের অন্তর্গত            " অরণ্যের রূপ " শীর্ষক রচনাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।  

(খ) ফুলকিয়া বইহারের জ্যোৎস্না রাত্রির অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে পরীরাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।  

(গ) ফুলকিয়া বইহারের সমস্ত প্রান্তরে ফাগুনের মাঝামাঝি দুধলি ফুল ফোটে।  

(৩) " সে জ্যোৎস্নারাত্রের বর্ণনা নাই " 

(ক) কোন জায়গায়  জ্যোৎস্না রাত্রির কথা বলা হয়েছে ? 

(খ) সেই জায়গায় কী কী গাছ দেখা যায় ? 

(গ) সেই রাত্রে সিপাহি রা কী করছিল ? 

উত্তরঃ 

(ক) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ' আরণ্যক ' উপন্যাসের অন্তর্গত 'অরণ্যের রূপ ' শীর্ষক রচনাংশ থেকে ফুলকিয়া বইহারের জ্যোৎস্না রাত্রির বর্ণনার কথা বলা হয়েছে।  

(খ) সেই জায়গায় বড় বড় গাছ দেখা যায় না , শুধু ছোটখাটো বন ঝাউ ও কাশবন দেখা যায়।  

(গ) সিপাহিরা সারাদিন আমোদ প্রমোদের পর ক্লান্ত দেহে ঘুমিয়ে পড়েছিল। 

(৪) " জ্যোৎস্না রাতের দুধলি ফুলের মিষ্ট সুবাস প্রাণ ভরিয়া আঘ্রাণ করিয়াছি " 

(ক) দুধলি ফুল কখন ফোটে ? 

(খ) 'আঘ্রাণ ' শব্দের অর্থ কী ? 

(গ) জ্যোৎস্না রাতের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।  

উত্তরঃ 

(ক) ফাগুনের মাঝামাঝি দুধলি ফুল ফোটে।  

(খ) " অঘ্রাণ " শব্দের অর্থ গন্ধ। 

(গ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ' অরণ্যের রূপ ' রচনাংশে গল্পকথক ফুলকিয়া বইহারের পরিপূর্ন জ্যোৎস্না রাত্রির রূপ বর্ণনা করেছেন।  নিঃশব্দ , নিস্তব্ধ সেই ছায়াবিহীন জ্যোৎস্না রাত্রির রূপ দেখে গল্পকথক মুগ্ধ হয়ে গেছেন।চকচকে সাদা বালি মেশানো জমি ও আধ শুকনো কাশ বনে জ্যোৎস্না এক অপার্থিব জগতের সৃষ্টি করেছে।  সেই অপার্থিব সৌন্দর্য্য দেখে তিনি যেমন মুগ্ধ তেমনই তার মনে ভয়েরও সঞ্চার করেছে।  গল্পকথক মনে করছেন তিনি যেন এক অজানা পরীরাজ্যে এসে পড়েছেন।  

(৫) " মনে হইল এক অজানা পরীরাজ্যে আসিয়া পড়িয়াছি " 

(ক) কার একথা মনে হয়েছিল ? 

(খ) 'পরী ' কাদের বলা হয় ? 

(গ) কখন তাঁর একথা মনে হয়েছিল ? 

(৬) " ভগবানের সৃষ্টির একটি অপূর্ব রূপ তাহার নিকট অপরিচিত রহিয়া গেল " 

(ক) কার লেখা , কোন গদ্যের অংশ ? 

(খ) কোথায় এ রূপ দেখা যায় ? 

(গ) সেই রূপ কেমন ছিল ? 

(৭) " কলিকাতার গোলমালের মধ্যে আর ফিরিতে পারিব না " 

(ক) উল্লিখিত অংশটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? 

(খ) কে কোলকাতার গোলমালের মধ্যে আর ফিরতে পারবেন না ? 

(গ) কেন ফিরতে পারবেন না ? 
















 
















পোস্টমাস্টার

প্রশ্ন ও উত্তর    (১) ' পোস্টমাস্টার' গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?  উত্তরঃ  ' পোস্টমাস্টার' গল্পটি 'হিতবাদী' পত...