পাঁচদিন ভাত নেই ,
দুধ এক রত্তি -
জ্বর গেল , যায় না যে
তবু তার পথ্যি।
সেই চলে জল সাবু ,
সেই ডাকতার বাবু
কাঁচা কুলে আমড়ায়
তেমনি আপত্তি।
ইস্কুলে যাওয়া নেই
সেইটে যা মঙ্গল-
পথ খুঁজে ঘুড়ি নেকো
গণিতের জঙ্গল।
কিন্তু যে বুক ফাটে
দূর থেকে দেখি মাঠে
ফুটবল ম্যাচে জমে
ছেলেদের দঙ্গল।
কিনুরাম পন্ডিত
মনে পড়ে তাকে তার ,
সমান ভীষণ জানি
চুনিলাল ডাকতার।
খুলে ওষুধের ছিপি
হেসে আসে টিপিটিপি ,
দাঁতের পাটিতে দেখি
দুটো দাঁত ফাঁক তার।
জ্বর বাঁধে ডাকতারে ,
পালাবার পথ নেই;
প্রাণ করে হাঁসফাঁস
যত থাকি যত্নেই।
জ্বর গেলে মাস্টারে
গিঁঠ দেয় ফাঁসটারে ,
আমারে ফেলেছে সেরে
এই দুটি রত্নেই।
প্রশ্ন ও উত্তর :
(১) "বিষম বিপত্তি " কবিতাটি কে লিখেছেন ?
উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "বিষম বিপত্তি " কবিতাটি লিখেছেন।
(২) পথ্যি কাকে বলে ?
উত্তরঃ রোগীর পক্ষে উপযুক্ত খাদ্য়কে পথ্যি বলে।
(৩) ছেলেটি ক-দিন ধরে ভাত খেতে পারছে না ?
উত্তরঃ ছেলেটি পাঁচ দিন ধরে ভাত খেতে পারছে না।
(৪) ভাতের বদলে তাকে কী খেতে হচ্ছে ?
উত্তরঃ ভাতের বদলে তাকে জল সাবু খেতে হচ্ছে।
(৫) ডাক্তারবাবুর কীসে খুব আপত্তি ?
উত্তরঃ কাঁচা কুল ও আমড়ায় ডাক্তারবাবুর খুব আপত্তি।
(৬) 'মঙ্গল ' কীসে ?
উত্তরঃ স্কুলে যেতে হচ্ছে না ,তাতেই যা মঙ্গল।
(৭) কার টাকের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ কিনুরাম পন্ডিতের টাকের কথা বলা হয়েছে।
(৮) ডাক্তারবাবুর নাম কী ?
উত্তরঃ ডাক্তারবাবুর নাম চুনিলাল।
(৯) জ্বর হওয়ার জন্য ছেলেটি কী কী অসুবিধা ও কষ্টের মধ্যে পড়েছিল ?
উত্তরঃ জ্বর হওয়ার জন্য ছেলেটিকে পথ্যি হিসেবে শুধু জল-সাবু খেতে হচ্ছিল। কাঁচা কুল ও আমড়া যা তার খুব প্রিয় তা খেতে পারছিল না। বিকেলে খেলার মাঠে ফুটবল ম্যাচও সে খেলতে যেতে পারছিল না।
বোধমূলক প্রশ্নোত্তর :
(১০) " ইস্কুলে যাওয়া নেই
সেইটে যা মঙ্গল --"
(ক) উল্লিখিত অংশটি কোন কবিতার অংশ ? কার লেখা ?
(খ) কাকে ইস্কুলে যেতে হচ্ছে না ও কেন ?
(গ) ইস্কুল যেতে হচ্ছে না বলে 'মঙ্গল' কেন ?
উত্তরঃ
(ক) উল্লিখিত অংশটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা " বিষম বিপত্তি " কবিতার অংশ।
(খ) ছোট ছেলেটির জ্বর হয়েছে , তাই তাকে ইস্কুল যেতে হচ্ছে না।
(গ) ইস্কুল যেতে হচ্ছে না বলে তাকে অঙ্ক করতে হচ্ছে না , তাই তার কাছে এটা 'মঙ্গল' বলে মনে হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment