Friday, 6 November 2020

জীবনভিক্ষা - করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়

 কবিতার সারাংশ :

কিসা গৌতমীর একমাত্র শিশুপুত্রটি মারা গিয়েছে।  শিশুপুত্রের মৃত্যুতে সে পাগলপ্রায়। পুত্রের মৃতদেহ নিয়ে   মন্দিরে মন্দিরে সে তার প্রাণাধিক প্রিয় পুত্রের জীবনের জন্য ঘুরে বেড়াল।  কিন্তু ব্যর্থ হল।  আপন জীবন দিতেও সে প্রস্তুত ছিল পুত্রের জীবনের জন্য।  তার দুধের বাছা চোখ মেলল না।  অবশেষে সে  পরমপুরুষ  গৌতম বুদ্ধের কাছে গেল।বুদ্ধদেব সমগ্র পৃথিবীর " ত্রিতাপ দুঃখ " ( অর্থাৎ আধ্যাত্মিক , আধিদৈবিক ও আধিভৌতিক ) হরণ করেছেন। সেইজগতদুর্লভ  জীবের দুঃখহারী বুদ্ধদেবকে তার  পুত্রের জীবন ফিরিয়ে দিতে প্রার্থনা জানাল।  গৌতম বুদ্ধ বললেন ,তার পুত্র " নীরব সমাধি মগ্ন " , সে চিরসুন্দর মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছে।  এমন যদি কোনো ঘর থেকে থাকে যেখানে মৃত্যু প্রবেশ করেনি , তবে সেখান থেকে কিছুটা সর্ষে নিয়ে এলে তার স্পর্শে পুত্রটি প্রাণ ফিরে পাবে।কিসা গৌতমী দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াল , কিন্তু একটি ঘরও পেল না যেখানে মৃত্যু প্রবেশ করেনি।  ফিরে এল সে গৌতম বুদ্ধের কাছে।  জানাল, তার মোহ -বিরহ তিরহিত।  সে বুঝেছে যে মৃত্যু জীবন মাত্রেই আছে , মৃত্যুকে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।  মৃতের প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা তাই বৃথা।  সে তার মৃত পুত্রের জীবন চায় না।  জগতের বিরহ দুঃখ হরণকারী বুদ্ধদেব তাকে যেন "অমৃত দীক্ষা" দেন।  



  

No comments:

Post a Comment

পোস্টমাস্টার

প্রশ্ন ও উত্তর    (১) ' পোস্টমাস্টার' গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?  উত্তরঃ  ' পোস্টমাস্টার' গল্পটি 'হিতবাদী' পত...