Friday, 25 December 2020

কুঠার ও জলদেবতা

 

কুঠার ও জলদেবতা

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

উৎস : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত " কুঠার ও জলদেবতা " গল্পটি তাঁর রচিত " কথামালা " গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। " 

গল্পের মূলভাব : কখনও কারও প্রতি হিংসা বা লোভ করতে নেই।  সব সময় সৎভাবে চলতে পারলে তার ফল অবশ্যই পাওয়া যায়।  আলোচ্য গল্পে প্রথম দুঃখী কাঠুরিয়া সৎ ছিল বলে জলদেবতা তাকে তার নিজের কুড়ুল এবং অন্য দুটো সোনার ও রূপোর কুড়ুল দান করেন।  কিন্তু দ্বিতীয় কাঠুরিয়া ছিল লোভী ও মিথ্যাবাদী।  এজন্য জলদেবতা তাকে কিছুই দেননি বরং তিরস্কার করে বিদায় দিয়েছেন।  ফলে সে তার নিজের কুড়ুলখানাও হারিয়েছে।   

 প্রশ্ন ও উত্তর ঃ

(১) প্রথম ব্যক্তিকে জলদেবতা প্রথমে কীরকম কুঠার দেখিয়েছিলেন ?

উত্তর ঃ  প্রথম ব্যক্তিকে জলদেবতা প্রথমে স্বর্ণময় কুঠার দেখিয়েছিলেন

(২) দ্বিতীয়বার জলদেবতা দুঃখী ব্যক্তিকে কী রূপ কুঠার দেখিয়েছিলেন ?

উত্তর ঃ  দ্বিতীয়বার জলদেবতা দুঃখী ব্যক্তিকে রজতময় কুঠার দেখিয়েছিলেন

(৩) দুঃখী লোকটিকে জলদেবতা কী কী দিয়েছিলেন ?

উত্তর ঃ দুঃখী লোকটিকে জলদেবতা স্বর্ণময় ও রজতময় কুঠারদুটির সাথে দুঃখী লোকটির নিজের লোহার কুঠারটিও দিয়েছিলেন

(৪) দুঃখী লোকটির স্বভাবের কী পরিচয় পাওয়া যায় ?

উত্তর ঃ দুঃখী লোকটি ছিল নির্লোভ , সত্যনিষ্ঠ ও ধর্মপরায়ণ . 

 

(৫) দ্বিতীয় ব্যক্তিকে জলদেবতা কীরূপ কুঠার দেখিয়েছিলেন ?

উত্তর ঃ দ্বিতীয় ব্যক্তিকে জলদেবতা প্রথমে সোনার কুঠার দেখিয়েছিলেন ।

(৬ ) কুঠার দেখে দ্বিতীয় ব্যক্তি জলদেবতাকে কী বলেছিল ?

উত্তর ঃ সোনার কুঠার দেখে দ্বিতীয় ব্যক্তি অত্যন্ত ব্যগ্র হয়ে জলদেবতাকে বলেছিল যে সেটা তার কুঠার ।

(৭) দ্বিতীয় ব্যক্তির  কথায় তার কোন স্বভাবের পরিচয় পাওয়া যায় ?

উত্তর ঃ দ্বিতীয় ব্যক্তির কথায় বোঝা  যায় যে সেই ব্যক্তি অত্যন্ত লোভী ও মিথ্যাবাদী ।

(৮) " তুমি কি জন্য এত রোদন করিতেছ?  " 

(ক) উল্লিখিত অংশটি কে কাকে বলেছে ? 

(খ) 'রোদন ' কথাটির অর্থ কী ? 

(গ) কে কেন রোদন করছিল ? 

উত্তর: 

(ক) উল্লিখিত অংশটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত " কুঠার ও জলদেবতা " গল্পে জলদেবতা দুঃখী ব্যক্তিটিকে বলেছে।  

(খ) 'রোদন' কথাটির অর্থ কান্না।  

(গ) দুঃখী ব্যক্তিটি গাছ কাটতে গিয়ে হাত ফসকে তার একমাত্র কুঠারটি নদীর জলে হারিয়ে ফেলে।  তাই সে নিজের দুর্ভাগ্যের জন্য কাঁদছিল।  

(৯) " আপনি  আমায় জন্মের মতো কিনিয়া রাখিলেন

(ক) বক্তা কে ? 

(খ) বক্তা উল্লিখিত উক্তিটি কেন করেছে ? 

উত্তর : 

(ক) বক্তা এখানে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত " কুঠার ও জলদেবতা " গল্পে দুঃখী ব্যক্তিটি।  

(খ) গাছ কাটতে গিয়ে হাত ফসকে দুঃখী ব্যক্তিটি তার একমাত্র কুঠারটি নদীর জলে হারিয়ে ফেলে।  কুঠারটি আর কোনদিন ফায়ার পাবে না ভেবে সে কাঁদতে থাকে।  তার কান্না দেখে সে নদীর জলদেবতার দয়া হয় এবং তিনি দুঃখীর সেই কুঠারটি যখন নদীর তলা থেকে তুলে এনে দেখায় তখন নিজের কুঠারটি ফিরে  পাবার আশায়  দুঃখী ব্যক্তিটি প্রশ্নে উল্লিখিত উক্তিটি বলে।  

(১০) " তুই এ কুঠার পাবার যোগ্য পাত্র নহিস।

(ক) কে কাকে উল্লিখিত উক্তিটি বলেন ? 

(খ) কেন বলেন ? 

উত্তর : 

(ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত " কুঠার ও জলদেবতা " গল্পে নদীর জলদেবতা দুঃখী ব্যক্তিটির এক লোভী প্রতিবেশীকে বলেছিলেন।  

(খ) দুঃখী ব্যক্তিটির কাছ থেকে তার প্রতিবেশীরা জানতে পারে যে নদীর দয়ালু জলদেবতা তাকে দয়া করে তার একমাত্র লোহার কুঠারের সাথে তাকে  একটি সোনার ও একটি রুপোর কুঠার ও দিয়েছে।  প্রতিবেশীদের মধ্যে এক লোভী ব্যক্তি নদীর ধারে গিয়ে তার লোহার কুঠারটি হাত ফসকে পড়ে গেছে এই রকম ভান করে কাঁদতে থাকে।  জলদেবতা যখন তাকে পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে সোনার তৈরি এক কুঠার দেখায় তখন সেই ব্যক্তি লোভ সামলাতে না পেরে বলে সেই সোনার কুঠারটিই  তার।  তখন জলদেবতা খুব রেগে যান এবং ওই লোভী ব্যক্তিকে তিরস্কার করে প্রশ্নে উল্লিখিত উক্তিটি করেন। 

 




 

 

 

Sunday, 6 December 2020

অরণ্যের রূপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়,

 অরণ্যের রূপ 

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় 

সাহিত্য মুকুল বইয়ে "অরণ্যের রূপ "  অংশটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত "আরণ্যক " উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।  

                  ১৯৩৭ থেকে ১৯৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দ 'আরণ্যক ' -এর রচনাকাল।  ভাগলপুরের আজমাবাদ , লবটুলিয়া , ইসমাইলপুর , রিজার্ভ ফরেস্ট এর প্রান্তসীমা -এই অঞ্চলে পরিব্যপ্ত অরণ্যই "আরণ্যক"। 

           " আরণ্যক " এর কাহিনী সরল ও জটিলতাবর্জিত।  নায়ক সত্যচরণ ভাগলপুরের কোনো জমিদারী এস্টেটে চাকরি পেয়ে ম্যানেজার হিসেবে সেখানে গিয়েছে।  প্রাথমিক ভাবে তার নাগরিক মন এই নির্জন অরণ্যবাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেও একটু একটু করে প্রকৃতি তার সম্মোহনকারী প্রভাব বিস্তার করেছে সত্যচরণের ওপরে। ক্রমে তার আর অরণ্যের থেকে সামান্য বিচ্ছেদও সহ্য হয় না।  

প্রশ্ন : 

(১) "একদিনের কথা জীবনে কখনও ভুলিব না " 

(ক) সেদিন কী উৎসব ছিল ? 

(খ) সেদিন কাছারির সিপাহীরা কী করেছিল ? 

(গ) সেদিন গল্পকথক অনেক রাত পর্যন্ত কী করছিল ? 

উত্তরঃ 

(ক) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত " অরণ্যের রূপ " রচনাংশ থেকে জানা যায় সেদিন দোল পূর্ণিমার উৎসব ছিল।  

(খ) সেদিন কাছারির সিপাহিরা ছুটি নিয়ে সারাদিন ঢোল বাজিয়ে হোলি খেলছিল।  সন্ধ্যার সময়ও তাদের নাচগানের বিরাম ছিল না।  

(গ) সেদিন গল্পকথক অনেক রাত পর্যন্ত নিজের ঘরে টেবিলে আলো জ্বালিয়ে হেড অফিসের জন্য চিঠিপত্র লিখছিলেন। 

(২) " মনে হইল এক অজানা পরীরাজ্যে আসিয়া পড়িয়াছি " 

(ক) লাইনটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? কার লেখা ? 

(খ) কোন স্থানকে পরীরাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ? 

(গ) ঐ জায়গায় ফাগুনের মাঝামাঝি কোন ফুল ফোটে ? 

উত্তরঃ 

(ক) প্রশ্নে উল্লিখিত অংশটি ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়  রচিত " আরণ্যক " উপন্যাসের অন্তর্গত            " অরণ্যের রূপ " শীর্ষক রচনাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।  

(খ) ফুলকিয়া বইহারের জ্যোৎস্না রাত্রির অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে পরীরাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।  

(গ) ফুলকিয়া বইহারের সমস্ত প্রান্তরে ফাগুনের মাঝামাঝি দুধলি ফুল ফোটে।  

(৩) " সে জ্যোৎস্নারাত্রের বর্ণনা নাই " 

(ক) কোন জায়গায়  জ্যোৎস্না রাত্রির কথা বলা হয়েছে ? 

(খ) সেই জায়গায় কী কী গাছ দেখা যায় ? 

(গ) সেই রাত্রে সিপাহি রা কী করছিল ? 

উত্তরঃ 

(ক) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ' আরণ্যক ' উপন্যাসের অন্তর্গত 'অরণ্যের রূপ ' শীর্ষক রচনাংশ থেকে ফুলকিয়া বইহারের জ্যোৎস্না রাত্রির বর্ণনার কথা বলা হয়েছে।  

(খ) সেই জায়গায় বড় বড় গাছ দেখা যায় না , শুধু ছোটখাটো বন ঝাউ ও কাশবন দেখা যায়।  

(গ) সিপাহিরা সারাদিন আমোদ প্রমোদের পর ক্লান্ত দেহে ঘুমিয়ে পড়েছিল। 

(৪) " জ্যোৎস্না রাতের দুধলি ফুলের মিষ্ট সুবাস প্রাণ ভরিয়া আঘ্রাণ করিয়াছি " 

(ক) দুধলি ফুল কখন ফোটে ? 

(খ) 'আঘ্রাণ ' শব্দের অর্থ কী ? 

(গ) জ্যোৎস্না রাতের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।  

উত্তরঃ 

(ক) ফাগুনের মাঝামাঝি দুধলি ফুল ফোটে।  

(খ) " অঘ্রাণ " শব্দের অর্থ গন্ধ। 

(গ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ' অরণ্যের রূপ ' রচনাংশে গল্পকথক ফুলকিয়া বইহারের পরিপূর্ন জ্যোৎস্না রাত্রির রূপ বর্ণনা করেছেন।  নিঃশব্দ , নিস্তব্ধ সেই ছায়াবিহীন জ্যোৎস্না রাত্রির রূপ দেখে গল্পকথক মুগ্ধ হয়ে গেছেন।চকচকে সাদা বালি মেশানো জমি ও আধ শুকনো কাশ বনে জ্যোৎস্না এক অপার্থিব জগতের সৃষ্টি করেছে।  সেই অপার্থিব সৌন্দর্য্য দেখে তিনি যেমন মুগ্ধ তেমনই তার মনে ভয়েরও সঞ্চার করেছে।  গল্পকথক মনে করছেন তিনি যেন এক অজানা পরীরাজ্যে এসে পড়েছেন।  

(৫) " মনে হইল এক অজানা পরীরাজ্যে আসিয়া পড়িয়াছি " 

(ক) কার একথা মনে হয়েছিল ? 

(খ) 'পরী ' কাদের বলা হয় ? 

(গ) কখন তাঁর একথা মনে হয়েছিল ? 

(৬) " ভগবানের সৃষ্টির একটি অপূর্ব রূপ তাহার নিকট অপরিচিত রহিয়া গেল " 

(ক) কার লেখা , কোন গদ্যের অংশ ? 

(খ) কোথায় এ রূপ দেখা যায় ? 

(গ) সেই রূপ কেমন ছিল ? 

(৭) " কলিকাতার গোলমালের মধ্যে আর ফিরিতে পারিব না " 

(ক) উল্লিখিত অংশটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? 

(খ) কে কোলকাতার গোলমালের মধ্যে আর ফিরতে পারবেন না ? 

(গ) কেন ফিরতে পারবেন না ? 
















 
















পোস্টমাস্টার

প্রশ্ন ও উত্তর    (১) ' পোস্টমাস্টার' গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?  উত্তরঃ  ' পোস্টমাস্টার' গল্পটি 'হিতবাদী' পত...